অস্ট্রেলিয়ায় ‘বাংলাদেশি’ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগী ধর্ষণের অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ায় এক এক বাংলাদেশি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে নারী রোগীদের ধর্ষণ ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ায় জিলংয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এ খবর দিয়েছে।

অভিযুক্ত চিকিৎসক ৫৬ বছর বয়সী সাইফুল মিল্কি মেলবোর্নের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর জিলংয়ের বাসিন্দা। বেলারাইনের পেনিনসুলা মেডিকেলে রোগী দেখতেন।

বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এক প্রতিবেদনে জানায়, অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হওয়ার আগে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

ডা. মিল্কির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে বলা হয়, চিকিৎসার নামে যৌন উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি নারী রোগীদের স্তন এবং ঊরুতে স্পর্শ করতেন। এমনকি তিনি তাদের কৌশলে ধর্ষণ করতেন।

২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই অপরাধগুলো তিনি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৫টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০১২ সালে এক নারী রোগীর স্তনে হাত দেখেন মিল্কি। এই কাজ তিনি রোগীকে অজ্ঞান করার পর করেন।

ওই রোগী অভিযোগ করেন, তার অন্তর্বাসকে টেনে খুলেছিলেন চিকিৎসক। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালে তিনি একই কাজ করেছেন অন্য রোগীদের সঙ্গে।

২০১৯ সালে চিকিৎসক হিসেবে মিল্কির নিবন্ধন স্থগিত করে মেডিকেল বোর্ড অব অস্ট্রেলিয়া। তবে দুই মাস পরে শর্তসাপেক্ষে তাকে আবার চিকিৎসা পেশা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় ভিক্টোরিয়ান সিভিল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (ভিসিএটি)।

নারী রোগীদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় ডা. মিল্কির উপর। তবে অস্ট্রেলীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে শর্তসাপেক্ষে কাজ করার ওই অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য মেডিকেল বোর্ড অব অস্ট্রেলিয়া আপিল করবে।

[১] [২] [৩]