মালয়েশিয়ায় কর্মীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া শুরু

চলতি বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরন প্রক্রিয়া। বিশেষ করে ২০১৬ সালে বাংলাদেশী এবং অন্যন্যা দেশের শ্রমিকরা প্রতারণা ও বিভিন্ন কারণে বৈধ হতে পারেননি তারা এবার বৈধ হতে পারবেন। পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতারনা জালিয়াতি রোধে সরকার এবার বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ ও নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতোক সেরী খাইরুল দাযায়মি দাউদ বলেছেন, এবারের বৈধকরণ রিকলিব্রেশন প্রক্রিয়ায় দুই থেকে আাড়াই লাখ শ্রমিক বৈধ করতে পারবো। দেশে বর্তমানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবৈধ শ্রমিক হ্রাস করাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য।

বৈধকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে খায়রুল দাজামি বিস্তারিত বলেন, এবার রিকলিব্রেশন ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই ৪৭৮ নিয়োগদাতা কোম্পানির কাছ থেকে দুই হাজার আবেদন পাওয়া গেছে। এছাড়া নিয়োগদাতারা চাইলে কারাবন্দী ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক শ্রমিকদের শর্ত সাপেক্ষে বৈধকরণ করতে পারেন। সরাসরি অনলাইনে www.mi.gov.my আবেদন গ্রহন করা হচ্ছে কোন এজেন্ট বা দালাল নিয়োগ করা হয়নি। মালিকগন সরাসরি তাদের শ্রমিকদের নিয়োগ দিবেন। কোন ৩য় পক্ষ নেই। তবে নিয়োগদাতারা কতজন শ্রমিক তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ দিতে পারবেন তা শ্রম মন্ত্রনালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক বলেন, আবেদন গৃহীত হওয়ার পর প্রথমে কর্মী নির্বাচন এবং তাদের নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তারপর নিয়োগকর্তারা ভিসার জন্য চুড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সময় জনপ্রতি রিকলিব্রেশন ফি ১৫ শ রিংগিত, লেভী কনস্ট্রাকশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য ১৮৫০ রিংগিত, বৃক্ষরোপণ ও কৃষি খাতের জন্য ৬৪০ রিংগিত, পাস ফি ৬০ রিংগিত, ভিসা প্রসেসিং ফি ১২৫ রিংগিত এবং ৫ রিংগিত, জাতিভেদে আরো ২০ মালয়েশিয়ান রিংগিত পরিশোধ করতে হবে। যদি কোন শ্রমিক এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন তাহলে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে তাদের দেশে ফেরত যাওয়ার বিমান টিকিট সহ ৫০০ রিংগিত জরিমানা দিতে হবে।

এ বিষয়ে ১৫টি দেশের দূতাবাস প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এই রিকলিব্রেশন প্রকল্প কে আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে এবিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহযোগিতা করার কথা ব্যক্ত করেছেন। শ্রমিক বৈধকরণ রিকলিব্রেশন কার্যক্রম চলবে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ।

[১] [২] [৩]