সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মূল আসামিসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্কুলছাত্রীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫নং সয়ার ইউনিয়নের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ উপজেলার শেখেরহাট এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে মিঠুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই সূত্র ধরে গত সোমবার রাতে মিঠুন স্কুলছাত্রীকে রাতের আঁধারে বাড়ির পার্শ্বে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে গিয়ে ৩জন সহযোগীসহ সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এর একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। সেসময় অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে প্রথমে তাকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এরপর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
ঘটনাটি তারাগঞ্জ থানা পুলিশকে স্কুলছাত্রীর স্বজনরা জানালে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- মোজ্জাম্মেল হক মোজা মিয়ার পুত্র মিঠুন আলী, মো: আব্দুল আজিতের পুত্র নুরুজ্জামান সরকার, জবান আলীর পুত্র নাসিম হোসেন, আব্দুল মজিদের পুত্র আল-আমিন হোসেন। সকলের বাড়ি বদরগঞ্জ উপজেলার শেখেরহাট গ্রামে।
ভিকটিমের পিতা কাজী মোঃ মোকছেদুল ইসলাম বাদি হয়ে তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
তারাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, মূল আসামি মিঠুনসহ অন্য ৩ জন অভিযুক্তদের আমরা গ্রেপ্তার করেছি এরপর তাদেরকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে রংপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03