সব
স্বদেশ বিদেশ রিপোর্ট,
গত ক মাস পূর্বেও ইতালীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ছিলো। কোনো কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তো দালালদের পৃষ্টপোষকতার অভিযোগ ছিলো। মাত্র একমাসের ব্যবধানেই সব পাল্টে গেছে। এমন কি যাদের বিরুদ্ধে দালালীর অভিযোগ ছিলো সে সব দালালরাও দূতাবাসের ধারে কাছেও যেতে সাহস পাচ্ছে না। আর সব রকম পরিবর্তনই ঘটেছে পেশাদার কূটনীতিক শামীম আহসান রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদানের পর।
স্বদেশ বিদেশের অনুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুস সোবহান সিকদার রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদানের পরই কতিপয় ব্যক্তির পৃষ্টপোষকতায় লিবীয়া ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশীসহ নিরীহ প্রবাসীদের হয়রানির দিন শুরু হয়। পাসপোর্ট আবেদন থেকে শুরু করে পাসপোর্ট নবায়ন, এনডোর্স ও বিভিন্ন সার্টিফিকেসহ যে কোনো কনসুলার সার্ভিস পেতে হলে ঐ সব দালালদের কাছে ধরনা দিতে হতো। চক্রটি ছাড়া খুব সহজে দূতাবাসের সেবা পাওয়া যেতো না। অনেকে এটাকে বাংলাদেশের ‘বিআরটিএ’ বলতো। সে সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাসহ রোম ও এর আশপাশ শহর থেকে দূতাবাসে অনিয়ম ও রাষ্ট্রদূত সোবহান সিকদারের প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হতো এবং ঐ সব বিক্ষোভ সমাবেশে ইতালীতে বাংলা কমিউনিটি গড়ার কারিগর খ্যাত মাহতাব হোসেন, জি.এম. কিবরিয়া, কে.এম লোকমান হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিকি বাচ্চুসহ বাংলাদেশে সমিতির দু অংশের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি থাকতেন।
তবে নতুন রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান যোগ দেওয়ার পর ঐসব অনিয়ম ও দূর্নীতি তো বন্ধ হয়েছেই পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীরা যাতে সহজেই সেবা পেতে পারে সেজন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
স্বদেশ বিদেশের সাথে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে দু দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের সর্বউত্তম সেবা দেওয়ার ব্যাপারে আমি দৃঢ় প্রতীজ্ঞ। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জারুরী সেবা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘন্টাই একটি হট লাইন থাকবে সেখান থেকে অতি জরুরী কোনো সেবা এ হট লাইন থেকে পাওয়া যাবে। রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আইন কানুন মেনে চলার অনুরোধ করেন। বিশেষ করে এ কভিট সময়।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03