সব
সিলেট অফিস
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট বিভাগে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়।
মঙ্গলবার (২১ জুন) অধিফতরের পরিচালক হিমাংশু লাল রায় এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত বন্যায় সিলেট বিভাগে ২৩ জনের মৃত্যুর তথ্য আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে সিলেটে ১৪ জন, মৌলভীবাজারে তিনজন ও সুনামগঞ্জে পাঁচজন।’
হিমাংশু লাল আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারা যাওয়াদের মধ্যে সিলেটে টিলা ধসে একজন, বন্যার পানিতে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে স্পৃষ্ট হয়ে দুইজন এবং নৌকাডুবিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলায় বজ্রপাতে তিনজন ও বন্যার পানিতে ডুবে তিনজন এবং মৌলভীবাজারে সাপের কামড়ে এক কিশোর, টিলা ধসে একজন এবং বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার সকালে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় মা-ছেলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন নাজমুন্নেসা ও তার ছেলে আব্দুর রহমান। তারা দরবস্ত ইউনিয়নের কলাগ্রামের বাসিন্দা।
মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত শুক্রবার নাজমুন্নেসা তার ছেলেকে নিয়ে পাশের গ্রামে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। মেয়ের বাড়িতেও পানি ওঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে মা-ছেলে সড়কের পাশে পানিতে তলিয়ে যান। আজকে তাদের মরদেহ ভেসে ওঠে।
এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা। বন্যায় এই দুই জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে।
সোমবার পর্যন্ত পানিবন্দি ছিলেন অন্তত ৪০ লাখ মানুষ। বন্যার সময় বিদ্যুৎ সাব স্টেশনগুলো পানি উঠে যাওয়ায় দেখা দেয় বিদ্যুৎ মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বিভ্রাট। দুই থেকে পাঁচ দিন যোগোযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল এসব জেলা। তবে গতকাল সোমবার থেকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সবকিছু।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03