সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করলে দুই যুগেও কাজ শেষ হতো না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার (৪ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রচিত ‘বাংলাদেশের ৫০ সাফল্য সম্ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু থেকে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহার করায় তারা কী শিক্ষা নিলো। প্রতিষ্ঠানটি অর্থায়ন না করায় আমাদের স্বপ্নের সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু যেমনি বিশ্বে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে তেমনি নিরাপদও হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক যদি সেতুতে অর্থায়ন করতো তাহলে তাদের মন মতো কাজ করতে হতো। ডিজাইন পরিবর্তন, টেকনিক্যাল সমস্যা, এখানে এই সমস্যা সেখানে সেই সমস্যা বলে তাদের মতামত আমাদের উপরে চাপিয়ে দিত। না করলে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করতো। এতে করে অনেক সময় অপচয় হতো।
মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে যে সকল দেশ ও সংস্থা অর্থায়ন করে থাকে তাদেরকে আমরা দাতা দেশ বা দাতা সংস্থা বলে থাকি। এটি ঠিক নয়। এসব দেশ ও সংস্থা আমাদের লোন দেয়, দান করেন না। এটি লাভসহ ফেরতযোগ্য। তাই তারা দাতা নয় বরং উন্নয়ন সহযোগী। অথচ তাদেরকে আমরা ভুল করে করে দাতা বলি যা উচিত নয়।
করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠুভাবে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করায় দেশ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, দেশ এখন নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে। বর্তমান দেশের মাথাপিছু আয়ের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই দেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে।
এ সময় গ্রন্থের লেখক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বইটি রচনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং প্রকাশনা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ড. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, এ বি ব্যাংক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল বক্তব্য রাখেন।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03