আশুরার উল্লেখযোগ্য ১০ ঘটনা

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২২, ২:১৬ অপরাহ্ণ

মহররম হলো ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস। চারটি পবিত্রতম মাসের মধ্যে এটি একটি। মহররম শব্দটি আরবি যার অর্থ পবিত্র, সম্মানিত।

ঐতিহাসিক নানা ঘটনাপ্রবাহের নির্যাস পবিত্র আশুরা। আরবি ‘আশারা’ শব্দ থেকে আশুরা শব্দটি এসেছে। আশারা অর্থ দশ, আর আশুরা মানে দশম। মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলে। এছাড়াও এ মাসের ১০ তারিখে ১০টি বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলেও মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়।

নিম্নে আশুরার উল্লেখযোগ্য ১০ ঘটনা তুলে ধরা হলো………..

১. আল্লাহ তাআলা এই দিন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তার ইচ্ছায় এই দিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে।

২. মানবজাতির পিতা হজরত আদম (আ.)-কে এই দিন জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়। আবার এই দিন আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-এর দোয়া কবুল করেন। এছাড়াও এ দিনে মানবজাতির মা হাওয়া (আ.)-এর সঙ্গে আরাফার ময়দানে পৃথিবীতে প্রথম সাক্ষাৎ হয় আদম (আ.)-এর।

৩. আল্লাহর নবী নুহ (আ.)-এর জাতির লোকেরা আল্লাহর নাফরমানি করেছিল। বারবার সতর্ক করার পরও তারা আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায়, আল্লাহর শাস্তি মহাপ্লাবনে নিপতিত হয়। দীর্ঘ প্লাবন শেষে মহররমের ১০ তারিখে তিনি নৌকা থেকে ঈমানদারদের নিয়ে পৃথিবীতে নেমে আসেন।

৪. আল্লাহর প্রিয়নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে অত্যাচারী বাদশাহ নমরুদ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিল। তিনি অগ্নিকুণ্ডে ৪০ দিন থাকার পর মহররমের ১০ তারিখ মুক্তি লাভ করেন।

৫. আল্লাহর নবী আইয়ুব (আ.) ১৮ বছর কঠিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এই দিনে মহান আল্লাহর রহমতে পূর্ণ সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্য লাভ করেন।

৬. হজরত ইউসুফ (আ.) ছিলেন ইয়াকুব (আ.)-এর ১২ সন্তানের একজন। ১১ ভাই ষড়যন্ত্র করে তাঁকে কূপে ফেলে দেয়। মহান আল্লাহর অনুগ্রহে এক বণিক দল তাঁকে উদ্ধার করে। এরপর বণিকদলের প্রধান মিশরে গিয়ে তাঁকে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেন।

পরবর্তীতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। এরপর ১০ মহররম দীর্ঘ ৪০ বছর পর তিনি পিতা আইয়ুব (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

৭. আল্লাহ তাআলার আরেক নবী হজরত ইউনুস (আ.)। তিনি জাতির লোকদের প্রতি হতাশ হয়ে পড়েন। এরপর নদী অতিক্রম করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান। পথিমধ্যে মাঝ নদীতে পতিত হন। আর তখন তাকে একটি বড় মাছ গিলে ফেলে। মাছের পেটে তিনি ৪০ দিন ছিলেন। এরপর ১০ মহররম আল্লাহর রহমতে মাছ তাকে নদীর তীরে ফেলে দেয় এবং তিনি মুক্তি লাভ করেন।

৮. বনি ইসরাইলের নবী হজরত মুসা (আ.)। তিনি ফেরাউনের জুলুম থেকে বাঁচতে সঙ্গী-অনুসারীসহ অন্যত্র চলে যান। নীল নদ পার হয়ে নিরাপদে পৌঁছে যান। আর অত্যাচারী ফেরাউন তার দলবলসহ নদীরে পানিতে ডুবে মারা যায়।

৯. ঈসা (আ.)-কে তাঁর জাতির লোকেরা হত্যা করার চেষ্টা করে। মহররমের ১০ তারিখ মহান আল্লাহ তাকে আসমানে উঠিয়ে নেন।

১০. কারবালার মর্মান্তিক বিয়োগান্তক ঘটনা। মহররম মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর নবী (সা.)-এর প্রিয় নাতি হোসাইন (রা.) কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...