যুদ্ধপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

যুদ্ধপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. নজরুল ইসলামকে (৭৫), গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

রোববার রাজধানীর শাহ আলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নজরুল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল-১, কেস নাম্বার- ১১, সাল- ২০১৭ এর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

এটিইউ’র মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং শাখার পু‌লিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, নজরুল মামলা হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান এবং দীর্ঘ ৫ বছর পলাতক থাকার পর তার অনুপস্থিতিতে ট্রাইবুন্যাল চল‌তি বছ‌রের ২৮ জুলাই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন ১৯৭৩ এর ২, ৩ এর ৪ ধারায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। রায়ে অন্যান্য আরও ৫ আসামির সাথে পলাতক নজরুল ইসলামকেও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এটিইউ জানায়, এ মামলার মোট আসামি ছিল সাতজন, তাদের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হন। অভিযোগ গঠনের আগে আসামি মোজাহার আলী শেখ মারা যান। পরে বাকি ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতায় খুলনার বটিয়াঘাটায় পলাতক নজরুল ইসলাম ও গ্রেপ্তারকৃত অপর পাঁচজন যেসকল যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছে তা হলো- বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা, ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা, ১৯৭১ সালের ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার-ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ ও ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বরে আসামিরা বটিয়াঘাটার বারো আড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল এবং আব্দুল আজিজকে গুলি চালিয়ে হত্যা।

[১] [২] [৩]