নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন : ভেজাল ওষুধ বিক্রি করলে ১০ বছরের জেল

ভেজাল ওষুধ বিক্রয়, মজুত, বিতরণসহ কয়েকটি অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে সর্ব্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রেখে সংশোধিত ওষুধ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ওষুধ প্রশাসনের কার্যক্রম কী হবে, মান কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ উৎপাদন, বিক্রয়, মজুত ও বিতরণের লাইসেন্স কীভাবে দেয়া হবে, সে বিষয় রয়েছে আইনের খসড়ায়। কেউ যদি লাইসেন্স অনুযায়ী যা উৎপাদন করার কথা তার বাইরে কোনো কিছু উৎপাদন করে তাহলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা–ও উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে আইনের খসড়ায়।

আইনের খসড়ায় থাকা শাস্তির কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রায় ২২টি ধারায় শাস্তির কথা বলা হয়েছে। তবে মন্ত্রিসভা বলেছে, এত বেশি ধারায় শাস্তির বিষয়গুলো না রেখে গ্রুপ গ্রুপ করে আনা যায় কিনা। আইনি যাচাইয়ের (ভ্যাটিং) সময় এটি দেখা হবে। লাইসেন্স ব্যতিত কেউ ওষুধ উৎপাদন ও আমদানি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড ও অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে। এটিই সর্ব্বোচ্চ শাস্তি। কেউ নিবন্ধন ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করে রপ্তানি, বিক্রয়, মজুত অথবা প্রদর্শন করলে এবং ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রয়, মজুত ও বিতরণ করলেও এই শাস্তি পেতে হবে। সরকারি ওষুধ চুরি করে বিক্রি করলেও একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে আইনের খসড়ায়।

এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় শিল্পনীতি, ২০২২-এর খসড়াসহ আরও কয়েকটি বিষয় অনুমোদন দেয়া হয়।

[১] [২] [৩]