আন্দোলনরত চা-শ্রমিকদের তোপের মুখে পরিবেশ মন্ত্রী

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে টানা ১২ দিন ধরে ধর্মঘট পালন করছেন হবিগঞ্জের ২৩টি চা-বাগানের ৪০ হাজার শ্রমিক। তাদেরকে কাজে ফেরার জন্য আশ্বস্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

বুধবার সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জুড়ীতে আসেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী। জুড়ী বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের চৌমুহনীতে সড়ক অবরোধ করে চা-শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন শুনে উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা শেষে ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলতে গেলে মন্ত্রী তাদের তোপের মুখে পড়েন।

মন্ত্রী চা-শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, আপনারা জীবনভর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকার বাগানের অনেক শ্রমিককে ঘর তৈরি করে দিয়েছে।

আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের মজুরি নিয়ে একটা কিছু বলবেন। দয়া করে আপনারা ঘরে ফিরে যান। পরে পরিবেশমন্ত্রীর আশ্বাসে চা শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পরিবেশ মন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই চা-শ্রমিকরা অনাস্থা জানান। সবাই ‘মানি না মানবো না’ স্লোগান দিতে থাকেন। পরিবেশ শান্ত করতে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম হাতে মাইক নেন।‌ পরে তার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে চা-শ্রমিকরা বলতে থাকেন ‘মন্ত্রী মহোদয় এতোদিন কোথায় ছিলেন?’ পরে মন্ত্রী ঘটনাস্থলে ত্যাগ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, মন্ত্রী মহোদয় খুব সুন্দর কথা বলেছেন। তিনি তিন দিনের মধ্যে ভালো খবর পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। শ্রমিকরা পরে সড়ক থেকে নেমে যান।

এদিকে চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপর চা–বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সরকার বলেন, জেলা প্রশাসন, দু-তিন দিন ধরে ভ্যালি প্রধান ও চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে আলোচনা করে আসছে। সরকারের সঙ্গে কী আলোচনা হলো বা মজুরি নিয়ে কতটুকু সমঝোতা হয়েছে, সমিতি ও ভ্যালি প্রধানেরা পঞ্চায়েত কমিটিকে তা জানাননি। এই অস্পষ্টতার কারণে সাধারণ শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিচ্ছেন না।

[১] [২] [৩]