বিশ্বব্যাপী তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ৩৪ কোটি মানুষ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২, ৮:২৫ অপরাহ্ণ

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। খাদ্য ঘাটতির পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে কোভিড মহামারি, যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন।
বুধবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব কারণে ২০১৯ সাল থেকে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
ডব্লিউএফপির আঞ্চলিক পরিচালক করিন ফ্লেশার জানান, করোনাভাইরাস মহামারির আগে বিশ্বব্যাপী ১৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুদ্ধের কারণে সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।
করিন ফ্লেশার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী ১০ গুণ বেশি অভিবাসন দেখতে পাচ্ছি, যা অবশ্যই আন্তঃসম্পর্কিত। তাই করোনাভাইরাস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জটিল প্রভাব নিয়ে আমরা সত্যিই চিন্তিত।
ডব্লিউএফপির আঞ্চলিক পরিচালক জানান, আমদানি নির্ভরতা এবং কৃষ্ণ সাগরের নৈকট্যের ফলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের সবচেয়ে বড় প্রভাবটা পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায়।
এ প্রসঙ্গে ফ্লেশার বলেন, ইয়েমেন নিজেদের খাদ্য চাহিদার ৯০% আমদানি করে। কৃষ্ণ সাগর থেকেও তাদের খাদ্য চাহিদার প্রায় ৩০% আসে।
তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মধ্যে ডব্লিউএফপি ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে খরচ গড়ে ৪৫% বেড়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র তহবিলের অভাবের কারণে তাই এতে অর্ধেক ব্যক্তির দৈনিক চাহিদা মেটানো সম্ভব।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পর তেলের দাম বাড়িয়ে উপকৃত হয়েছিল ইরাক। কিন্তু প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ইরাকও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। ইরাকের প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ টন গমের প্রয়োজন হলেও তারা কেবল ২ কোটি ৩০ লাখ টন গম উৎপাদন করতে পারে। গমের বাকি চাহিদা তাই পূরণ করতে হয় আমদানির মাধ্যমেই।
তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় সমর্থন থাকা সত্ত্বেও তীব্র খরা এবং ক্রমাগত পানির সংকটের কারণে পুরো ইরাকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রদের জীবন-জীবিকা বিপন্ন হয়ে উঠেছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...