সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সিইসি নুরুল হুদার বিস্ফোরক মন্তব্য

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে মুখ খুললেন সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা। দাবি করেন, ২০১৮ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন নিয়ে করার কিছুই ছিল না তাদের। দায়িত্ব ছাড়ার ছয় মাস পর একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকার নয় বরং সরকারি দলের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল সেই নির্বাচন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে খারাপ ব্যবস্থা উল্লেখ করে, ভোটে ইভিএম বাড়ানোর তাগিদ তার।

২০১৭ থেকে ২০২২। পাঁচ বছরে জাতীয় সংসদসহ ছয় হাজারেরও বেশি নির্বাচন করে নূরুল হুদার কমিশন। হাতে গোনা দু’একটি বাদে যার বেশিরভাগ ভোট নিয়েই ছিল বিতর্ক আর নানা প্রশ্ন।

এসব প্রশ্নবিদ্ধ ভোটে যখন ভেঙে পড়ে নির্বাচন ব্যবস্থা, তখন নির্বিকার ছিল হুদা কমিশন। তবে দায়িত্ব ছাড়ায় কিছুটা খোলামেলা কে এম নুরুল হুদা। বললেন, সরকারি দলের কারণেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল সে সব নির্বাচন।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, যারা সরকারের দলে থাকে তাদের প্রভাব থাকতে পারে, তাদের এইসব সুযোগ নেওয়ার আছে।

ইসির সীমাবদ্ধতার প্রসঙ্গে তুললেন, ২০১৮ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কথা। তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ যখন আছে তাহলে কোথাও কোথাও এই ধরনের সত্যতা থাকতে পারে। আমরা জানি না সঠিক কি না। যদি হয়ে থাকে সেটি খারাপ। কেউ রিপোর্ট না করলে নির্বাচন কমিশনদের ওই পর্যন্ত গিয়ে দেখভাল করার সুযোগ নাই।

তাহলে, বাংলাদেশে আর কবে ফিরবে সুষ্ঠু নির্বাচনী ধারা? হতাশার বাণী সাবেক এই সিইসির কণ্ঠে। তার অভিমত, সময় লাগবে আরও দু’শো বছর।

তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে ১৮৮৩ সাল থেকে ২০০ বছর লেগেছিল নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বা ফেয়ার করার পেছনে। আমার যদি কনভেনশনাল নিয়মে যদি যাই তাহলে আমাদের ২০০ বছর সময় লাগবে।

তবে সমাধান কী নিরপেক্ষ কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আসার পক্ষে আমি না। আমি এটার বিপক্ষে। ভুল যাই হোক না কেন এই কনভেনশনাল নিয়মের মধ্যে হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্ট একটা খারাপ কনসেপ্ট।

কে এম নুরুল হুদা মনে করেন, গত নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও আগামী ভোটে তাদের আনাটাই বর্তমান কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, নির্বাচনে বড় বড় দলগুলো অংশগ্রহণ করানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে ভালো হবে। তার মতে, নির্বাচনী এই সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে পারে শুধুই ইভিএম’র ভোট।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...