অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধন আজ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে আজ। খুলে দেয়া হচ্ছে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতু’। আজ রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেকুটিয়ায় কঁচা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি-কোটি মানুষের আরও একটি স্বপ্ন পুরণ হতে যাচ্ছে।

বঙ্গমাতা সেতু এলাকায় গতকাল দুপুরে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের উপলক্ষে সব ধরণের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। নদীর পশ্চিম এবং পূর্বপাড়ে দু’টি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। পশ্চিমপাড়ে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও পূর্বপাড়ে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু উপস্থিত থাকবেন।

২০১৩ সালের ১৯ মার্চ পিরোজপুরের এক জনসভায় কঁচা নদীর উপর সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ-চীন ৮ম মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৮৯৪ দশমিক শূন্য আট কোটি টাকা ব্যয় করে এক হাজার ৪৯৩ মিটার দৈর্ঘের এবং ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের এই পিসি বক্স গার্ডার সেতুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেছে।

চীন সরকার এই সেতুটি নির্মাণে ৬৫৪ দশমিক ৮০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য প্রদান করেছে এবং বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করেছে ২৩৯ দশমিক ৮০ কোটি টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ মাস আগেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শেষ করে সেতু বিভাগের কাছে গত মাসের ৭ তারিখ হস্তান্তর করেন।

সেতুর পূর্ব প্রান্তে নদীর তীরে ২২০ মিটার দীর্ঘ ও ৫৫ মিটার প্রস্থের বিনোদন এলাকা উন্নয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ব প্রান্তে এপ্রোচ সড়ক সংলগ্ন ৬০ মিটার দীর্ঘ ও পাঁচ মিটার প্রস্থের বিটুমিনাস সড়ক, এপ্রোচ সড়কের নিচে ৬০ মিটার দীর্ঘ ও পাঁচ মিটার প্রস্থের কংক্রিট সড়ক এবং পশ্চিম প্রান্তে ১২০ মিটার দীর্ঘ এবং তিন দশমিক ৫০ মিটার প্রস্থের কংক্রিট সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ২২০ মিটার নদী শাসনের কাজ করা হয়েছে।

এ সেতু প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ মাহমুদ সুজন জানান, চীনের মেজর ব্রিজ রিকনাইসেন্স এবং ডিজাইন ইন্সটিটিউট কোম্পানি লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে চায়না রেইল ওয়াচ ১৭ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড এই সেতুটি নির্মাণ করে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...