প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে যেতে পারেন নভেম্বরে

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর নিয়ে আলোচনা করছে দুই দেশ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরের শেষ দিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে টোকিও সফর করতে পারেন তিনি। বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন অংশীদার জাপানের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধির বিষয়ে এই সফরে মতৈক্য হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে খুলে যেতে পারে সম্পর্কের নতুন দুয়ার; যা নেওয়া হতে পারে ‘স্ট্র্যাটেজিক’ স্তরে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক অনেক দৃঢ় এবং কোভিড না হলে প্রধানমন্ত্রী অনেক আগেই জাপান সফর করতেন।

জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ সামগ্রিক অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পেরেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সেটিকে নতুন অধ্যায়ে উন্নীত করতে প্রস্তুত রয়েছি। নতুন অধ্যায়কে আমরা স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক বলতে পারি। এছাড়া ইন্দো-প্যাসিফিক কেন্দ্রিক যেসব উন্নয়ন উদ্যোগ রয়েছে সেখানে আমরা সংশ্লিষ্ট হতে পারি। তবে সেটা আমাদের স্বার্থের পরিপন্থী হলে আমরা যুক্ত হবো না।

মাতারবাড়ি প্রকল্প : মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে জাপান বড় ধরনের কানেক্টিভিটি চিন্তা করছে এবং এটি শুধু আভ্যন্তরীণ বাজার নয়, এরসঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল, ভুটান এবং মিয়ানমার রয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, জাপানের বিগ-বি উদ্যোগ শুধু মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে নয়, এর লক্ষ্য আরো অনেক বড়। দিল্লিতে যে জাপানের রাষ্ট্রদূত রয়েছেন তিনি ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রদেশগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং বিগ-বি কেন্দ্রিক আলোচনা করেন। এছাড়া জাইকা এই অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে। চট্টগ্রাম ও আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি করছে জাপান এবং সেখানে শুধু জাপানের কোম্পানিসহ অন্য দেশের কোম্পানি বিনিয়োগ করতে পারবে।

মেগা প্রকল্পে জাপান : স্বাধীনতার পর থেকে সবদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়েছে জাপান এবং এর পরিমাণ ১৭৫০ কোটি ডলারের বেশি। প্রথম অবস্থায় স্বাস্থ্য বা শিক্ষায় ছোট ছোট প্রকল্পে অংশগ্রহণ করলেও এখন অনেকগুলো মেগা প্রকল্প যেমন মাতারবাড়ি, মেট্রোরেল, বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনালে অর্থায়ন করছে দেশটি। এছাড়া আরও কিছু প্রকল্প তাদের বিবেচনাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, ১৯৭৩ থেকে এ পর্যন্ত জাপান প্রায় ২৮০০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং এরমধ্যে ১৭৫০ কোটি ডলারের বেশি ছাড় করেছে। ৪৩টি ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স প্যাকেজের অধীনে এই অর্থ দেওয়া হয়েছে এবং এর সুদের হার শূন্য দশমিক ৬৫। ওই গোটা অর্থের মধ্যে ৪৭০ কোটি ডলার অনুদান। জাপান থেকে অর্থ নেওয়ার সুবিধা হচ্ছে এটি শর্তযুক্ত নয় এবং তাদের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খাক্ষা নেই।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...