একনেকে চার লেন মহাসড়কসহ ৬ প্রকল্প অনুমোদন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৩:৪৯ অপরাহ্ণ

কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত নতুন চার লেন সড়ক নির্মাণ করছে সরকার। এতে ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে। এ প্রকল্পসহ মোট ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির একনেক।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানী শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সব শেষে অনুমিত প্রকল্পের বিভিন্ন দিক সাংবাদিক সামনে উপস্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এম এ মান্নান বলেন, আজকে ৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক যাচাই-বাছাই ও আলোচনা করে সেগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যয় হবে ৮ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ‘কুমিল্লা (ময়নামতি)-ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ধরখার) জাতীয় মহাসড়ককে (এন-১০২) চার লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৭ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় ২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে ভারত। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।

দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী ভারত, ভুটান, নেপাল এবং পূর্ব প্রান্তে মিয়ানমার ও চীনের কুনমিং শহরের সঙ্গে বাংলাদেশের সড়কপথ পণ্য ও যোগাযোগের ভূমিকা রাখবে এই মহাসড়ক। ভারতীয় দ্বিতীয় এলওসির আওতায় বাস্তবায়নাধীন আশুগঞ্জ নদীবন্দর-আখাউড়া স্থলবন্দর চার লেন সড়ককেও সংযুক্ত করবে এ মহাসড়ক। পাশাপাশি দেশের ব্যস্ততম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুই মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটকে সংযুক্ত করেছে মহাসড়কটি।

অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে–বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের (এন-৮০৯) বরিশাল (চারকাউয়া) হতে ভোলা (ইলশা ফেরীঘাট) হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। মূল ব্যয় ছিল ৩১২ কোটি টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫০২ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার হতে শাহ্ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের ব্যয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) মিটফোর্ড, কুমিল্লা, ফরিদপুর, বরিশাল ও বগুড়া-এর সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পে ব্যয় হবে ২১৪ কোটি টাকা।

মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৯৮ কোটি টাকা। আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ) (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে এক বছর।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...