তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ দুরন্ত সজিবের সাইকেল ভ্রমণ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:২৬ অপরাহ্ণ

প্লাস্টিক বর্জন কিংবা পুনব্যবহারের স্লোগান নিয়ে বাই সাইকেলে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফের উদেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন কৃষক বাবার অদম্য সন্তান মো. সজিব মিয়া। গত ২৮ আগষ্ট পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া হতে কক্সবাজারের টেকনাফের উদ্দ্যেশে যাত্রা শুরু করেন সজিব। বর্তমানে কক্সবাজরে অবস্থান করছেন।

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের ইসপিঞ্জারপুর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক মো. আবুল কালামের ছেলে। তিনি ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রী কলেজের স্নাতক (বিএসএস) প্রথম বর্ষে অধ্যায়ন করছেন। বয়স ২০ বছর।

ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত ছিলেন সজিব। বাবার পুরনো হিরো বাই-সাইকেল নিয়ে যে ছুটে যেতেন বহুদূরে। দূর-দূরন্তের জনবসতি, মানুষ ও তাদের জীবন-জীবিকা সম্পর্কে জানা তার নেশায় পরিণত হয়। এ দুরন্তপনার জন্য তাঁর স্কুল-কলেজের বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকরা সবাই ডাকে ‘দুরন্ত সজিব’ বলে ডাকতেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভ্রমণের ছবিগুলো প্রকাশ হওয়ায় তার স্থানীয় মহলে আলোচনায় উঠে আসেন তিনি। এতে অনুপ্রেরণা পান।

এরআগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাই-সাইকেল নিয়েই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন হয়ে অষ্টগ্রাম, শ্রীমঙ্গল, সিলেট ও জাফলং ভ্রমণ করেছেন। এতে খুশি হয়ে এক প্রবাসী তাকে একটি নতুন বাই সাইকেল উপহার দেন। এটি নিয়েই এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করছেন সজিব।

সজিব বলেন, ‘ভ্রমণ আমার খুব প্রিয় সখ। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা সম্পর্কে জানতে খুব আগ্রহ অনুভব করি। প্রতিদিন ৬/৭ ঘন্টায় গড়ে শতাধিক কিলিমিটার অতিক্রম করতে পারি। সাইকেল চালিয়ে টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে চাই।’ সজিব আরও বলেন, ‘নিরাপদ স্থানে পলিথিন আর গাছের ডাল দিয়ে টুংঘর তৈরী করে রাত্রি যাপন করি। সাইকেল চালিয়ে দেশের মধ্যে পরিচিত হতে চাই। ২০১৯ সাল থেকে দূর গন্তব্যে সাইকেলে বের হই।’

সজিবের বন্ধু রেজুয়ান রিজভী বলেন, ‘স্কুল জীবন থেকেই সজিবকে দেখে আসছি তাঁর সাইকেলে নিয়ে ছুটাছুটি করার নেশা। তার এমন কর্মকাণ্ড ভালো লাগে।’

সজিবের মা মোছাঃ বিউটি বেগম বলেন, ‘ছোট থেকেই সাইকেল নিয়ে ছুটাছুটি করা তাঁর স্বাভাব। বিভিন্ন যাওগা ঘুরে দেখা ওর পছন্দ। আমার ৫ জনের পরিবার। সংসারে আর্থিক-অনটন থাকায় ছেলেটাকে কোনো সহযোগিতা করতে পারি না। ওর জন্য আপনাদের দোয়া চাই।’

ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, ‘কলেজ পড়ুয়া সজিব তেতুলিয়া যাওয়ার আগে আমাকে তাঁর ভ্রমণ সম্পর্কে অবহিত করেছে। তাঁর কর্মকাণ্ড খুব ভালো লেগেছে।’

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...