বিদেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ল ১২ শতাংশ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৯:৩০ অপরাহ্ণ

উন্নত ক্যারিয়ার ও উত্তম জীবনযাত্রার উৎকৃষ্ট নির্ণায়ক হলো বিদেশে উচ্চশিক্ষা। প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ ছাড়েন। তবে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে দেওয়ার ক্ষেত্রে খরচের বিষয়টিও এখন বিশেষভাবে মাথায় রাখতে হচ্ছে। কারণ কার্ডের মাধ্যমে বিনিময় করা ডলারের দাম প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। ইউনিফর্ম রেট চালু হওয়ার পর মার্কিন ডলারের দর ১৩ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১০৮ টাকায় পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএফইডিএ) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ডে প্রতি ডলারের মূল্য এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার খরচ হবে ব্যাংকের নগদ ডলারের বিক্রি হারের সমান।

বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে টিউশন ফি’র পাশাপাশি পরিষেবা এবং পণ্য কেনার জন্য কার্ডের মাধ্যমে কেনা প্রতি ডলারের বিনিমূল্য ছিল ৯৫ টাকা। অন্যদিকে, কার্ড ব্যবহার না করে নগদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের জন্য গুণতে হয়েছে ১১১ টাকা।

ব্যাংকারদের ভাষ্য, বিদেশ ভ্রমণের সময়ে অধিকাংশই নিজেদের ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বেশিরভাগই খরচ হয় বিমান ভাড়া, হোটেল বুকিং এবং কেনাকাটার পেছনে। হঠাৎ করে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পড়াশোনার ফি, সেমিনার ফি এবং অনলাইন কোর্স ফিসহ বিভিন্ন সেবা ও পণ্য ক্রয়ের খরচও প্রায় ১০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ বাড়বে। যেসব অভিভাবক ইতোমধ্যেই তাদের সন্তানকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছেন, তাদের জন্য ব্যাপারটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাঠানোর জন্য তারা সাধারণত কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। এর আগে, উচ্চ হারে ডলারের দাম কমাতে নগদ বা ডলারের কাগুজে নোটের পরিবর্তে কার্ড ব্যবহার করতে গ্রাহকদের আহ্বান জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ৩০ জুন থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে। পরে ব্যাংকগুলো ওই হারে কার্ডগ্রাহকদের ডলার দিচ্ছে। যখন কার্ডের মাধ্যমে কেনা প্রতি ডলারের বিনিমূল্য ৯৫ টাকা ছিল, তখন খোলাবাজার এবং নগদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে গ্রাহককে যথাক্রমে ১২১ টাকা এবং ১১১ টাকা গুণতে হয়েছিল। একপর্যায়ে ডলারের বিনিমূল্যের পার্থক্য কমে এলেও তা ১২ টাকার কম হয়নি।

বাড়ছে কার্ডভিত্তিক লেনদেন : করোনাভাইরাস মহামারির পর কার্ড থেকে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার দ্রুত কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুনে কার্ডভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ছিল ৩৯৭ কোটি টাকা, যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...