বজ্রপাতের হটস্পট সিরাজগঞ্জ, ২১ মাসে ৫৮ জনের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতের ঘটনা বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এই বজ্রপাত ও মৃতের সংখ্যা আরো বেড়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো বজ্রপাতের নতুন হটস্পট হিসেবে সিরাজগঞ্জ জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত বছর (২০২১ সালে) মে মাস পর্যন্ত বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের, আহত হয়েছে শতাধিক।

এ ছাড়াও চলতি বছরের (২০২২ সালে) ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। উল্লাপাড়া উপজেলায় নয়জন, কাজিপুরে দুজন, তাড়াশে একজন, কামারখন্দে একজন ও সলঙ্গায় একজনের মৃত্যু হয়। দুই বছরে মোট ৫৮ জনের প্রাণহানি ঘটে।

জেলা দুর্যোগ ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে ৭টি উপজেলায় বসানো হয়েছে বজ্র নিরোধক যন্ত্র। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ৩০ ফুট উঁচু স্টিলের খুঁটির অগ্রভাগে এসব যন্ত্র বসানো হয়েছে। প্রতিটি যন্ত্রে খুঁটির চারপাশে ৩০০ ফিটের মধ্যে বজ্রপাত হলে তাতে মানুষ বা প্রাণীর কোনো ক্ষতি হবে না। এতে বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে মানুষ। সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে চারটি, বেলকুচিতে দুটি, উল্লাপাড়ায় দুটি, তাড়াশে দুটি, কাজীপুরে দুটি ও সদর উপজেলা দুটি বজ্র নিরোধক যন্ত্র বসানোর কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জেলার ৭টি উপজেলায় বজ্র নিরোধক যন্ত্র বসানো হচ্ছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দেশে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে সিরাজগঞ্জসহ দেশের ১৬ জেলায় বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানোর কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানো হবে। এই যন্ত্রের চারপাশে ৩০০ ফিট এলাকায় বজ্রপাত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন বা অন্য কোনো প্রাণীর কোনো ক্ষতি হবে না।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আধুনিক প্রযুক্তি সম্পূর্ণ ১৬টি লাইটিং অ্যারেস্টার বসিয়েছি। এ ছাড়া আগামীতে আরো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লাইটিং অ্যারেস্টার বসানো হবে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হিসেবে মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তালগাছ রোপণের কাজ চলমান আছে।

[১] [২] [৩]