মার্চের মধ্যে পি কে হালদারকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে ভারত

হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) আগামী বছরের মার্চের মধ্যে বাংলাদেশে পাঠানোর কথা জানিয়েছে ভারতের আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইডি।

বৃহস্পতিবার ভারতের আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলার তদন্তে নেমে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা। তবে মামলা করার আগেই পি কে হালদার পালিয়ে কানাডা চলে যান। যাওয়ার আগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি।

একই সময়ে তিনি চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) নিজের নিয়ন্ত্রণে ধরে রাখেন।

এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তুলে তা কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ ও সেই অর্থ বিদেশে পাচার করেন তিনি। পি কে হালদারের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার ৬২ জন সহযোগীর খোঁজ পায় দুদক। পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা করেছে দুদক।

দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা পি কে হালদার গত মে মাসে ভারতে গ্রেফতার হন। ভারতে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তিনি অবৈধভাবে ভারতের পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ড নিয়েছেন। ভারতের আইন অনুযায়ী এটি গুরুতর অপরাধ। এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে ভারতে একটি মামলা হয়েছে।

[১] [২] [৩]