বিলাসবহুল ৭৯ গাড়ির নিলাম রোববার

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ‘কার্নেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় আনা বিলাসবহুল ৭৯টি গাড়ির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল রোববার। ই-অকশনে দরপত্র দাখিলের সময় শুরু হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে, চলবে আগামীকাল দুপুর ২টা পর্যন্ত। একই দিন বিকাল ৫টায় নিলামের বক্স খোলা হবে এবং দরদাতাদের দাখিলকৃত মূল্যের তালিকা তৈরি করা হবে। পরে সর্বোচ্চ দরদাতাদের তালিকা ঘোষণা করবে কাস্টমস।

নিলামে উঠা এসব গাড়ির মধ্যে ৪ কোটি টাকার ওপরে রয়েছে তিনটি গাড়ি, ৩ কোটির ওপরে ছয়টি, ২ কোটির ওপরে আটটি, ১ কোটির ওপরে ৪৩টি এবং কোটি টাকার নিচে ১৯টি গাড়ি। আর সর্বোচ্চ দামের গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার ৩২১ টাকা এবং সর্বনিম্ন গাড়ির মূল্য ৪০ লাখ ৬৭ হাজার ৮১৯ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ‘কার্নেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা গাড়িগুলো খালাস করেনি। আমদানি করা ও খালাস না হওয়া গাড়িগুলো নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক পত্রের মাধ্যমে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি একটি ইনভেন্ট্রি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি আমদানি করা ওই গাড়িগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে ইনভেন্টরি প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ৭৯টি গাড়ির নিলাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

নিলামের ক্যাটালগ সূত্রে জানা যায়, সর্বোচ্চ দামের গাড়িটি রয়েছে ক্যাটালগের ৪৫ নম্বর লটে। যুক্তরাজ্যে তৈরি ২০০৫ সালের ৪ হাজার ১৯৭ সিসি সিলভার কালারের ল্যান্ড রোভার গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার ৩২১ টাকা। তবে গাড়িটির চাবি ও ড্যাসবোর্ড পাওয়া যায়নি। এছাড়া গাড়িটির চাকাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী।

অন্যদিকে, নিলামে উঠা সর্বনিম্ন দামের গাড়িটি হলো জাপানে তৈরি ২০০৪ সালের সিলভার কালারের হোন্ডা গাড়ি। নিলামের ৭৬ নম্বর লটে থাকা এই গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৪০ লাখ ৮২ হাজার ৭২৪ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন জানান, আমরা গাড়িগুলো নিলামে বিক্রির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট সংগ্রহ করেছি। কাজেই গাড়িগুলো বিক্রিতে আর বাধা নেই। ক্রেতাকে আলাদা করে আর ক্লিয়ারেন্স পারমিট সংগ্রহ করতে হবে না। তাই এবার আশা করছি আমরা ভালো সাড়া পাবো। এছাড়া নিলামের ক্যাটালগ কাস্টম হাউস, এনবিআরের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি সরকারি নিলামকারী প্রতিষ্ঠান কেএম করপোরেশনের কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

[১] [২] [৩]