মিয়ানমার তাদের এলাকায় যুদ্ধ করবে, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৬:১১ অপরাহ্ণ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার তাদের এলাকায় যুদ্ধ করবে, তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটাবে না। মিয়ানমারে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, তার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রশিক্ষণ কুচকাওয়াজ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আরাকান আর্মিসহ সেখানে বিভিন্ন বিছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী যুদ্ধ করছে। আমরা শুনেছি, আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের দেশের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা আহ্বান করছি না। তাদের সীমানায় তারা যুদ্ধ করুক, কিন্তু আমাদের সীমানায় তাদের ঢুকতে দেবো না, এটা আমাদের ক্লিয়ার মেসেজ।

নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শৃঙ্খলা হচ্ছে সৈনিকের মূল পরিচিতি। আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনও পিছপা হয় না সেই প্রকৃত সৈনিক। সততা, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভরযোগ্যতা, আনুগত্য, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাপকাঠি।’ নবীন সৈনিকরা এসব গুণাবলির প্রতিফলন ঘটিয়ে বাহিনীর ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, কিংবদন্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই বাহিনী তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজিবিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবির সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে। বিজিবি এখন জল, স্থল ও আকাশপথে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট স্থাপন, অত্যাধুনিক যুগোপযোগী ও কার্যকর এন্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন্স, এটিভি, এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল ও দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে ৯৮তম রিক্রুট ব্যাচের সেরা চৌকস রিক্রুট হিসেবে ১ম স্থান অধিকারী বক্ষ নম্বর-৩২০ রিক্রুট (জিডি) মো. আনোয়ার হোসেন এবং অন্যান্য বিষয়ে সেরা সৈনিকদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। এরপর নবীন সৈনিকদের চৌকসদল কর্তৃক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আবারও সশস্ত্র সালাম প্রদানের মাধ্যমে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, ৯৮তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ১৭ এপ্রিল থেকে বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি) ও চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নে (৬ বিজিবি) শুরু হয়। উভয় প্রশিক্ষণ ভেন্যুতে সর্বমোট ৮৪৯ জন রিক্রুটের মধ্যে ৮০৩ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন নারী রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের কঠোর প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে আজ আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের সৈনিক জীবনের শুভ সূচনা হলো।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...