শেখ হাসিনার কৌশল মানেই দেশের কল্যাণের জন্য। শেখ হাসিনা কৌশলের ফল আমরা হাতে হাতে পেয়েছি। দেশে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, খাদ্য ঘাটতি কমেছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি ইকোনোমিক মেমোরেনডাম’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে, স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে। সারা বাংলাদেশ এপার-ওপার করতে পারেন সেতু হয়েছে, কালভার্ট হয়েছে। শ্যামগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জ, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া গাড়ি চালিয়ে যাবেন একটা খালও আপনার জন্য সমস্যা না সবখানে সেতু। এটা আমরাই করেছি।
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জোর কদমে হাঁটতে পারবো না তবে কদম সামনে যাবেই। আমরা সঠিক পথে আছি, শেখ হাসিনার কৌশল দেশের জন্য কল্যাণ হচ্ছে।
ব্যাংকিং খাতে নানা সমস্যা আছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এগুলো মোকাবিলা করে সমাধানের একটা পথ বের করবো। আমাদের সংস্কার করতেই হবে, আমাদের ভোটাররাও এটা চান। পলিটিক্যাল কিছু বিষয় আছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
মন্ত্রী বলেন, সড়কে লাঠিসোটা নিয়ে দ্রব্যমূল্য কমানো যাবে না। লাঠিসোটা দিয়ে মূল্যস্ফীতি বা মুদ্রাস্ফীতিও কমানো যায় না। মূল্যস্ফীতি কমাতে গেলে বসে কথা বলতে হবে, আমাদের মিলেমিশে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কাগজে রাজনৈতিক সংঘর্ষের বিষয় দেখি। এটা লুকানোর কোনো বিষয় না। আমি রাজনৈতিক সংঘর্ষের কথা বলছি না বা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা বলছি না। আকাশে কালো মেঘ দেখতে পাই, আমরা আশা করবো কালো মেঘ থেকে ঝড় আসবে না। ঝড় কারোর জন্যই মঙ্গল হবে না। এটা সকলের জন্যই অমঙ্গল হবে। আজ আবারও বলছি আমাদের সবাইকে আলোচনার পথে আসতে হবে। একটা বিশ্বমানের রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এটাকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সে বিবেচনায় আমাদের বিশ্বমানের আচরণও করতে হবে। আমি বিনয়ের সঙ্গে সকল মহলের রাজনীতিবিদদের বলবো আসুন আলোচনা করি।