এক দশকে এগিয়ে যাওয়া প্রথম দশ দেশের একটি বাংলাদেশ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ ঘটেছে। এখন ‘তলাবিহীন ঝুড়ির দেশটি’র উন্নয়ন প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব নেতারা। বিজয়ের কেতন উড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার যে কোনো দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, গত এক দশকে এগিয়ে যাওয়া প্রথম দশটি দেশের একটি বাংলাদেশ। এই সময়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ভাল করেছে শুধু চীন। তবে বেশ কয়েকটি কারণে চলমান উন্নয়ন টেকসই নাও হতে পারে। এজন্য ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গবেষকরা জানান, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হতে প্রতিবছর প্রবৃদ্ধি লাগবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সক্ষমতা বাড়াতে হবে ব্যবসা বাণিজ্যের।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জনগণের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে। বিশ্বব্যাংক আমাদের যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছে আমরা এই প্রস্তাবগুলো দেখবো; তারপর সেখান থেকে পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা নেবো।

পরিকল্পনামন্ত্রী উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়েছেন শেখ হাসিনা। সীমান্ত চুক্তি আর সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের দুটি বড় অর্জন। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক এ তিনটি সূচকের যে কোনো দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ তিনটি সূচকের মানদন্ডেই উন্নীত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে।

এম এ মান্নান বলেন, আমাদের একটা লেভেল আছে এবং আমরা আরও উন্নতি করতে চাই। দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক কিছু সমস্যা আছে, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এর ফল আমরা হাতে হাতে পেয়েছি। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, খাদ্য ঘাটতি কমেছে, প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ গেছে, স্বাক্ষরতা বেড়েছে। সারা বাংলাদেশে এপার থেকে ওপারে যাবেন, একটা ফেরি পার হতে হবে না। এগুলো কি চিন্তা করার মতো বিষয় নয়? সুতরাং যেসব বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বলেছে, আমরা তা করছি এবং চালিয়ে যাবো।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...