শীতের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২২, ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

বাজারে প্রায় সব পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। সবজি, মাছ, মুরগি, ডিম, চালসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নাভিশ্বাস উঠছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের। এ অবস্থায় অনেক পণ্যই কেনা কমিয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে বাজারে এখন সবজির ক্রেতা কম, খোদ বিক্রেতারাই বলছেন এ কথা।
শুক্রবার সরজমিনে নগরীর বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে বাজারে এসেছে শীতের সবজি ফুলকপি, পাতাকপি ও শিম। পাওয়া যাচ্ছে আমদানি করা গাজর টমেটোও। তবে দাম নাগালের বাইরে। সপ্তাহের ব্যবধানে ফুলকপি পাতাকপির দাম কমলেও, কমেনি শিম টমেটো আর গাজরের দাম।

শুক্রবার নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, রিকাবীবাজার ও মদীনা মার্কেট ঘুরে জানা গেছে, কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। আর টমেটো ১২০-১৫০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহেও গাজরের দাম ছিল ১২০ টাকা। এখন কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আর আলু যথারীতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

ফুলকপি ও পাতাকপি গত সপ্তাহে ছিল পিস ৫০ টাকা। এ সপ্তাহে পিস প্রতি ১০ টাকা করে কমলেও সাইজে ছোট।
সুবিদবাজার এলাকায় ভ্যানচালক রহিম মিয়া নামের ক্রেতা বলেন, ২ জাতের দাম কমলে, আরো ৩ জাত সবজির দাম বাড়ে। শাকের দাম কমেছে কিন্তু বেড়েছে মরিচের দাম। বাজারে সবজির অভাব নেই। কিন্তু অধিকাংশ সবজির দাম ৫০ টাকার বেশি।

বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম বাড়ার স্পষ্ট কারণ জানা নেই। তবে, কিছু সবজি গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে।
আম্বরখানা বাজারের সবজি বিক্রেতা রশিদ মিয়া বলেন, বেগুন গত সপ্তাহে কিনেছি ৭০ টাকায়। এখন তা কিনতে হয়েছে ৪৫ টাকায়। বিক্রি তো ৫৫-৬০ টাকায়। তবে গোল বেগুন ৭০ টাকা।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও ঢেঁড়স ছিল ৫০ টাকা, আজ তা ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। কাঁকরোলে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহেও যা ছিল ৫০ টাকা। শসার দাম হেরফের না হওয়ায় ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাউ ৫০-৬০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ ও লতি ৬০ টাকা। দাম কমায় করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা। ঝিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা। মুলার কেজি আগের মতোই ৫০ টাকা কেজি। কাঁচকলার হালি ৪০ টাকা।

রবিউল ইসলাম নামে ক্রেতা বলেন, শীতের সবজি নামছে কিন্তু দাম অনেক বেশি। শিম খেতে মন চায় কিন্তু কেজি ১৪০ টাকা। তাই বাধ্য হয়ে আড়াইশ গ্রাম শিম কিনেছি।
বাজার ঘুরে জানা যায়, পাট শাক আটি ১৫ টাকা, কলমি শাক আটি ১৫ টাকা, কচুর লতি আটি ২০-৩০ টাকা, মুলা শাক আটি ২০ টাকা, লাল শাক আটি ২০ টাকা, পুই শাক কেজি ৩০ টাকা ও শাপলা ডাটা ১৫-২০ টাকা। তবে ধনে পাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লেবুর হালি ২০-৩০ টাকায় মিলছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের পছন্দের লাউয়ের দামও রয়েছে আগের জায়গায়। ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে লাউ। জালি কুমড়া ৫০ টাকা পিস।

এদিকে টমেটো ও গাজরের দাম শুনে অনেক ক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন। যারাও কিনছেন তারা অল্প করে কিনছেন। সবজি কিনতে আসা গৃহবধু হালিমা বলেন, সামর্থ্যের মধ্যে শাক, পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া। কিন্তু মরিচের দাম বেড়েছে। লাউয়ের দামও বাড়তি। আলুও ৩৫ টাকা। বাকি সবই ৬০ টাকার ওপরে।
মরিচের দাম সম্পর্কে বিক্রেতা রমিজ উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে পাঁচ কেজির পাল্লা কিনেছি ২২০-২৫০ টাকায়। আজ তা ৩৫০ টাকা। প্রায় ১৫০ টাকা বেড়েছে। তাই খুচরাতেও বেড়েছে। আড়াইশ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...