নাইজেরিয়ায় বন্যায় নিহত ৫০০, গৃহহীন ১৪ লাখ

নাইজেরিয়ায় বন্যায় অন্তত ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গৃহহীন হয়েছেন ১৪ লাখের বেশি মানুষ। একে গত কয়েক দশকের মধ্যে নাইজেরিয়ার সবথেকে ভয়াবহ বন্যা বলে বর্ণনা করেছে দেশটি। এক
বিবৃতিতে নাইজেরিয়ার ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৪ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন, ৫০০ জন মারা গেছেন এবং এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ৮ লাখ মানুষ। বন্যায় আহত হয়েছেন আরও ১৫৪৬ জন।
সিএনএন জানিয়েছে, বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ২৪৯টি বাড়ি ভেসে গেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে ৭৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল। এ বছর বর্ষাকাল শুরুর পর থেকেই বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে নাইজেরিয়ার। তবে গত এক মাসে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। সবথেকে খারাপ অবস্থা দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আনামব্রার। সেখানে বন্যার পানিতে একটি নৌকা ডুবে গেলে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়।
নাইজেরিয়ার কোগি প্রদেশের গভর্ণর আলহাজি ইয়াহিয়া বেলো সাংবাদিকদের জানান, কোগির অবস্থা খুবই ভয়াবহ।
নাইজার ও বেনুই নদীর কারণে এই প্রদেশে এতো পানি প্রবেশ করেছে। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিদেশী দেশগুলোর কাছে দ্রুত ত্রাণ পাঠানোর অনুরোধ জানান। তিনি ফেডারেল সরকার, প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি, বিশ্ব ব্যাংক এবং অন্য দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন।
বন্যার কারণে তেলবাহী ট্যাংকারগুলো পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোয় আটকে পড়ে। এতে জ্বালানিসংকট দেখা দিলে রাজধানী আবুজার পেট্রল স্টেশনগুলোয় চলতি সপ্তাহে অপেক্ষমাণদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোয় ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় নভেম্বরে আর দক্ষিণে ডিসেম্বরে বর্ষা মৌসুম শেষ হয়। ২০১২ সালের বন্যায় নাইজেরিয়ায় ৩৬৩ জনের মৃত্যু হয়। বাস্তুচ্যুত হয় ২১ লাখের বেশি মানুষ।

[১] [২] [৩]