সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচন আজ : ১৩ কেন্দ্রে ১৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট

আজ সিলেট জেলা পরিষদের আমেজ ও উৎসবহীন ভোটগ্রহণ। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমের মাধ্যমে ১৩ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ভোটের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রিসাইডিং অফিসারগণ স্ব স্ব কেন্দ্রে চলে গেছেন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ২টা পর্যন্ত। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস। ম্যাজিস্ট্রেট, জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া জেলার ১৩ টি কেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা।

১৩ কেন্দ্রে ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪ জন জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এরমধ্যে ১৩ কেন্দ্রে ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবস্থান করবেন, ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রানিং-এ থাকবেন। এছাড়া ৪ জন জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া মনিটরিং করবেন।
যদিও চেয়ারম্যান পদে ভোট না হওয়ায় অনেকটাই আমেজহীন এ নির্বাচন। এরপরও ১৩টি ওয়ার্ডে ৫ টি সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ১৭ জন এবং ১৩ টি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্যপদে ৪৭ জন মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬৪ জন প্রার্থী।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলার (প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে) ১৩টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইলেকশন কমিশন নিয়েছে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা, গ্রহণ করেছে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ৭ জনের ফোর্স। ভোটের আগে ও পরে থাকবেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও কয়েক প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব-এর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সিলেট জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা জানান, ভোট চলাকালে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় অস্ত্রসহ পুলিশের তিন জন, অস্ত্রসহ আনসারের দুজন ও অঙ্গীভূত আনসারের দুজন সদস্য- এই মোট ৭ জন দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও তারা ভোটের আগে একদিন ও পরে একদিন ভোটকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব ও পরিস্থিতি অনুসারে জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে পুলিশ সুপার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ফোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

নির্বাচন অফিসার শুকুর মিঞা আরও জানান- ভোটকেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই সিলেটের প্রতিটি ভোটকক্ষ এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকবে। ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চপর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে থাকবে টেকনিক্যাল টিম।

উল্লেখ্য, সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তবে সোমবার জেলা পরিষদের সংরক্ষিত ৫টি ওয়ার্ডে ১৭ জন নারী এবং ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ প্রার্থী মিলে দু’টি পদে মোট ৬৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

[১] [২] [৩]