রাজা তৃতীয় চার্লস এর রাজ্যাভিষেক অনুষ্টানে রাণী কনসর্ট ক্যামিলা কোহিনুর পরবেন কি না এনিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা

রাজা তৃতীয় চার্লস গত মাসে মা রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের নিয়ম মাফিক সিংহাসনে আরোহন করেন। বাকিংহাম প্যালেসের অফিসিয়াল বিবৃতি অনুসারে তার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান হবে আগামী বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৬ মে, তবে এখন থেকেই একটি প্রশ্ন যা সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে তা হল রাণী কনসর্ট ক্যামিলা কোহিনুর পরবেন কিনা। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে আগামী বছর ৬ মে ক্যামিলার সাথে রাজা তৃতীয় চার্লস এর রাজমুকুট পরা হবে, পেইজ সিক্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ক্যামিলা বিতর্কিত মুকুট পরা থেকে বিরত থাকতে পারেন। কারণ এটি আন্তর্জাতিক ভাবে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিতে পারে। তবে পেজ সিক্সের বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে কোহিনূর দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কোহিনূরটি রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগ পর্যন্ত তার সাথে ছিল এখন এটি রাজপ্রথা অনুযায়ী ক্যামিলার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কারণ তিনি এখন রানী কনসোর্ট। ১৯৩৭ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জের সাথে রাজ্যাভিষেকের সময় মুকুটটি রানী মা (কুইন মাদার) পরেছিলেন। প্রায় ১০৫.৬ ক্যারেটের ওজনের কোহিনূরকে প্রায়শই বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান হীরা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ১৪ শতকে ভারতে হীরাটি পাওয়া যায়। এই হীরার ইতিহাস খুঁজতে গেলে দেখা যায় মূল্যবান হীরাটি কাকতিয়া রাজবংশের রাজত্বকালে অন্ধ্র প্রদেশের গুন্টুরে পাওয়া গিয়েছিল। এটি ওয়ারাঙ্গলের একটি হিন্দু মন্দিরে দেবতার একটি চোখ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে কোন কোন কোন ইতিহাসবিদ বলেন। এর পরে মালিক কাফুর (আলাউদ্দিন খিলজির সেনাপতি) এটি লুট করেছিলেন। পরবর্তিতে চলে যায় মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে। ইতিহাসে এই হিরকটি মোগল সম্রাট শাহ জাহানের রাজ মুকুট হিসেবে অধিক পরিচিত। পরবর্তিতে শিখ মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের দখলে চলে যায়। পরে তিনি লাহোর থেকে পাঞ্জাবে চলে আসেন। পাঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিত সিং-এর পুত্র দিলীপ সিং- এর কাছ থেকে ১৮৪৯ সালে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে চলে আসে কোহিনূরটি। কোহিনুর হীরাটি রানির রাজ মুকুটে স্থাপন করা হয়। হিরকটি লন্ডনের জুয়েল হাউসের টাওয়ারে সংরক্ষিত এবং জনসাধারণের কাছে গণযোগ্য ৷

[১] [২] [৩]