জলবায়ু পরিবর্তনে ‘অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে’ ১০০ কোটি শিশু

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ৬:৩০ অপরাহ্ণ


জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির কারণে প্রায় ১০০ কোটি শিশু ‘অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে, বুধবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সতর্ক করেছে ডাচ অধিকার গোষ্ঠী কিডসরাইটস। সংস্থাটি আরও সতর্ক করেছে বলছে, শিশুদের জীবনযাত্রার মান গত দশকে উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থাগুলির সরবরাহ করা পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে কিডসরাইটস ইনডেক্স আরও বলেছে যে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু, প্রায় ৮২কোটি, বর্তমানে তাপপ্রবাহের সংস্পর্শে এসেছে।

ডাচ এনজিও কিডসরাইটস জানিয়েছে, পানির ঘাটতি বিশ্বব্যাপী ৯২ কোটি শিশুকে প্রভাবিত করেছে, যখন ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো রোগগুলি প্রায় ৬০ কোটি শিশুকে প্রভাবিত করেছে, বা প্রতি চারজনের মধ্যে একজনকে।

কিডসরাইটস ইনডেক্স হল প্রথম এবং একমাত্র র‌্যাঙ্কিং যা পরিমাপ করে যে কীভাবে বার্ষিক শিশুদের অধিকারকে সম্মান করা হয়। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৮৫টি দেশের মধ্যে আইসল্যান্ড, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডকে শিশুদের অধিকারের জন্য সেরা এবং সিয়েরা লিওন, আফগানিস্তান এবং চাদকে সবচেয়ে খারাপ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

শীর্ষ তিনটি দেশের মধ্যে, শুধুমাত্র সুইডেনের র‌্যাঙ্কিং আগের বছরের থেকে পরিবর্তিত হয়েছে, চতুর্থ স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে চলে গেছে।

কিডসরাইটসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মার্ক ডুলায়ার্ট এই বছরের প্রতিবেদনটিকে বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের শিশুদের জন্য উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল জলবায়ু এখন তাদের ভবিষ্যত এবং তাদের মৌলিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে ।

ডুলার্ট আরও বলেন, গত দশকে শিশুদের জীবনের মানদণ্ডে কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি এবং তার উপরে তাদের জীবিকা কোভিড -১৯ মহামারী মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে।

কিডসরাইটস বলেছে কোভিড -১৯ মহামারী শিশুদের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল, যারা বাধা এবং ক্লিনিক বন্ধ হওয়ার কারণে খাবার বা ওষুধ পেতে অক্ষম ছিল, যার ফলে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ২ লাখ ৮৬ হাজার শিশু মারা গেছে ।

রটারডামের ইরাসমাস ইউনিভার্সিটির সাথে একত্রে সংকলিত কিডসরাইটস ইনডেক্স বলেছে, দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো, শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ১৬ কোটিতে উন্নীত হয়েছে, যা গত চার বছরে ৮৪ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে কিডসরাইটস অ্যাঙ্গোলা এবং বাংলাদেশকে হাইলাইট করে বলেছে যে দুটি দেশ শিশুদের অধিকারের ক্ষেত্রে তাদের স্কোর উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে।

কিডসরাইটস’র প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাঙ্গোলা তার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার অর্ধেকেরও বেশি কমিয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে কমিয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদনে মন্টিনিগ্রোকে কম টিকা দেয়ার সংখ্যার জন্য তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে, সূচকে দেশটির অবস্থান ৪৯ নম্বরে রয়েছে।

উল্লেখ্য, কিডসরাইটস জাতিসংঘের তথ্য ব্যবহার করে কোন দেশ কিভাবে জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেনশন মেনে চলছে সেটি পরিমাপ করে থাকে ।

সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...