টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে জিম্বাবুয়ে

স্কটল্যান্ডকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে জিম্বাবুয়ে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ আসরে এসে তারা প্রথমবার মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) হোবার্টে স্কটল্যান্ডের দেয়া ১৩৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ক্রেইগ আরভিন। ২৩ বলে ৪০ রান করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সিকান্দার রাজা। স্কটিশদের পক্ষে ১৬ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন জোশ ডেভি। একটি একটি উইকেট তুলে নেন ব্র্যাড হুইল, মার্ক ওয়াট ও মাইকেল লিস্ক।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। মাত্র ৭ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে রেজিস চাকাবা (৪) ও ওয়েসলি মাধভেরের (০) উইকেট। ওপেনার ক্রেইগ আরভিন একপ্রান্ত আগলে ধরে দলের প্রাথমিক চাপ সামলে নেন। তৃতীয় উইকেটে নামা শন উইলিয়ামস তাকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু মাইকেল লিস্ককে তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন ডিপ স্কয়ার লেগে। আর তাতে উইলিয়ামসের ইনিংস থামে ১২ বল মোকাবিলায় মাত্র ৭ রানে। ৮ ওভারে ৪২ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া জিম্বাবুয়ের দুর্দশার চিত্র বদলে যায় সিকান্দার রাজা ক্রিজে নামার পরই। চতুর্থ উইকেটে দুজন মিলে চড়াও হন স্কটিশ বোলারদের ওপর।

পরবর্তী ৪২ বলে ৬৪ রান আসে তাদের জুটি থেকে। ৪৮ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নেন আরভিন। ঝড় তুলে ২৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪০ রান করে আউট হন রাজা। তাকে সাজঘরে ফেরান জোশ ডেভি।

ততক্ষণে অবশ্য জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। দলের জয়ের জন্য যখন ১৯ বলে ১৪ রান প্রয়োজন তখন ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন আরভিন। ৬ চারের মারে ৫৪ বল মোকাবিলায় ৫৮ রানে থামে তার ইনিংস। বাকি দায়িত্বটা সামলে নেন রায়ান বার্ল ও মিল্টন শুম্বা।

এর আগে জিতলে সুপার টুয়েলভ, হার বিদায় এমন সমীকরণে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কটল্যান্ড। তবে জিম্বাবুয়ের পেসারদের দাপটে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ২৪ রান তুলতেই টপঅর্ডারের দুই ব্যাটার মাইকেল জোনস ও ম্যাথু ক্রসকে হারায় তারা। জোনস ৫ বলে ৪ রান করে টেন্ডাই চাটারার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৭ বলে মাত্র ১ রান করে ক্রস বিদায় নেন রিচার্ড এনগারাভার শিকার হয়ে।

শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে একাই টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার জর্জ মুনসে। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক রিচি বেরিংটন। ১৫ বলে ১৩ রান করে সিকান্দার রাজার বলে স্লগ সুইপ খেলতে মিডউইকেটে ধরা পড়েন বেরিংটন। চতুর্থ উইকেটে তাকে সঙ্গ দিতে নামেন ক্যালাম ম্যাকলিওড। উইকেট ধরে খেলতে গিয়ে টি-টোয়েন্টির রেশ হারিয়ে ফেলেন তারা।

৪৬ বল মোকাবিলায় ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন মুনসে। হাত খুলে খেলার চেষ্টা করতেই স্কয়ার লেগে শুম্বার হাতে ধরা পড়েন মুনসে। তাকে সাজঘরে ফেরান এনগারাবা। ৫১ বল মোকাবিলায় ৭ চারের মারে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে থামে মুনসের ইনিংস।

ওয়ানডে ধরনে ব্যাট করা ম্যাকলিওড ২৬ বলে ২৫ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে চাটারার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। অন্যরাও ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানেই থামে তাদের ইনিংস।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ১৪ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন চাটারা। ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন এনগারাবা। মুজারাবানি ও সিকান্দার রাজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

[১] [২] [৩]