চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য পরিবহনের কার্যক্রম বন্ধের ডাক দিয়েছে শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে চট্টগ্রাম নগরীতে এক সমাবেশে এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়।

অপর দাবিগুলো হলো- লাইটার জাহাজের শ্রমিকদের ওঠা–নামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণ, সাঙ্গু নদীর মুখ খনন করে লাইটার জাহাজের নিরাপদ পোতাশ্রয় করা।

বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, চরপাড়া ঘাট ইজারা দেয়ার পর থেকে ইজারাদারের লোকজনের শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে আসছে। গত ৩ নভেম্বর ইজারাদারের লোকজন ৮–৯ জন শ্রমিককে মারধর করে। কিন্তু ওই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া, বন্দরের কাছে এই ঘাটের ইজারা বাতিলের দাবি জানালেও, কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে চরপাড়া ঘাটের সামনে থেকে সব লাইটার জাহাজ পারকির চর এলাকায় নিয়ে যায় নৌযান শ্রমিকরা।

তিনি জানান, পারকির চর এলাকায় অবস্থানরত নৌযান থেকে শ্রমিকরা বিমানবন্দর সড়কের শেষ মাথায় চাইনিজ ঘাট ব্যবহার করে ওঠানামা করতে শুরু করে। এ ঘাটটিও আজ উচ্ছেদ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিকেলে বাংলাবাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে লাইটার জাহাজে পণ্য ওঠানো-নামানো ও পরিবহন বন্ধের ডাক দিয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, শ্রমিকেরা ঘাট দিয়ে যাতে নিরাপদে নৌকায় উঠতে পারেন এবং অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নৌযান পরিচালনা করতে না পারে, সে জন্য দরপত্রের মাধ্যমে চরপাড়া ঘাট ইজারা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চায়নিজ ঘাটে বন্দরের অনুমোদন ছাড়াই যাত্রী পারাপার করা হচ্ছিল। তাই অবৈধ ঘাটটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নদীপথে প্রতিবছর ছয় কোটি টনের বেশি পণ্য পরিবহন হয়। এই পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, সিরামিকস ও ইস্পাতশিল্পের কাঁচামাল, সার, কয়লা ও ভোগ্যপণ্য। লাইটার জাহাজে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলে চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে বিপাকে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

[১] [২] [৩]