বিএনপি’র গণসমাবেশকে ঘিরে সিলেটজুড়ে উচ্ছ্বাস আর উৎসবের আমেজ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। এই গণসমাবেশকে ঘিরে সিলেটজুড়ে উচ্ছ্বাস আর উৎসবের আমেজ চলছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। সমাবেশে অন্তত চার থেকে পাঁচ লাখ লোক সমাগম ঘটানোই এখন তাদের লক্ষ্য। সমাবেশস্থল নগরীর চৌহাট্টার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের আশপাশ ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সেখানে গত বৃহস্পতিবার থেকে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, কেন্দ্রের সরাসরি তত্ত্বাবধান ও নির্দেশে চলছে সব কাজ। দুই দফায় সিলেট সফর করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান এবং দলটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, ড. এনামুল হক চৌধুরী ও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন সার্বক্ষণিক তদারকিতে রয়েছেন।

সিলেট মহানগর বিএনপির এক দায়িত্বশীল নেতা জানান, সিলেটে গণসমাবেশকে ঘিরে গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই তৎপরতা চলছে। সময় যত এগিয়েছে, নেতাকর্মীদের তৎপরতাও তত বৃদ্ধি পেয়েছে। সিলেট বিভাগের চারটি জেলাতেই সমাবেশের প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সিলেট মহানগর, বিভাগের চারটি জেলা শহর ছাড়াও প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়েও এই গণসমাবেশের গণসংযোগ করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

সিলেট মহানগর বিএনপির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা জানান, বিভাগের প্রত্যেক জেলা বিএনপি নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গেও বৈঠক করেছে, নির্দেশনা দিয়েছে। এর বাইরে বিএনপির প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নিজেদের মধ্যে পৃথক বৈঠক করে প্রস্তুতি নিয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো পৃথকভাবে প্রচার চালাচ্ছে।

নেতারা বলছেন, সব কার্যক্রমের মূলে রয়েছে ব্যাপক লোকসমাগমের লক্ষ্য। বিভাগের প্রত্যেকটি জেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি সমাবেশে নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ করে সিলেট থেকে উপস্থিতি থাকবে সবচেয়ে বেশি।

সমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘট, হামলা ও বাধার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে জানিয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, নির্ধারিত দিনের দু-একদিন আগে থেকেই নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। আগেভাগেই যেসব নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হবেন, তাদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ দেখবে সিলেটবাসী। দু-একদিন আগে থেকেই সমাবেশস্থলে জনতার ঢল নামবে। লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে গোটা নগরী ভরে যাবে। ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ চলছে। দায়িত্বশীল নেতারা একেবারে তৃণমূল অবধি ছুটছেন প্রতিদিন। সর্বত্র গণমানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপির এই গণসমাবেশে অন্তত চার থেকে পাঁচ লাখ লোকসমাগমের আশা করছি। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাধা-ষড়যন্ত্র কোনো কিছুই মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। সব বাধা পেরিয়ে সমাবেশ সফল হবে।

উল্লেখ্য, চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...