শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১১:১৫ অপরাহ্ণ

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেইসঙ্গে দুই বাজারেই দাম বাড়ার থেকে দাম কামার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যাক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
অবশ্য গত কয়েকদিনের মতো দুই বাজারেই দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা ক্রেতার অভাবে তাদের কাছে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।
লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিট না যেতেই ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা। সেই সঙ্গে বড় হতে থাকে দরপতনের তালিকা।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৭টির। আর ২৩২টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৩০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৯৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৮৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ৪৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট এলায়েন্স পোর্ট।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে নাভানা ফার্মা, ইস্টার্ন হাউজিং, বসুন্ধরা পেপার, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, আমরা নেটওয়ার্ক এবং সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ।
দেশের অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১২৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬১টির এবং ৯৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...