আঞ্চলিক বৈষম্য আরও বাড়ছে: পিকেএসএফ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ২:২৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ উন্নয়নে এগিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। কিন্তু সমাজে বৈষম্য, বিশেষ করে আঞ্চলিক বৈষম্য দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই বৈষম্য দূর করার জন্যই আমাদের কাজ। রোববার এমন মন্তব্য করেছেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার। পিকেএসএফ দিবস উপলক্ষে ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, আবাসন ও নাগরিক সুবিধা খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাজেট বরাদ্দে দেশের ৬টি জেলাকে শতকরা প্রায় ৭৪ ভাগ এবং বাকি ৫৮টি জেলাকে মাত্র ২৬ ভাগ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে কম বরাদ্দ পাওয়া জেলাগুলোর মধ্যে ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও বরগুনা ০.২০ ভাগ করে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছে।

‘সাম্যের সাথে উন্নয়নের পথে’ স্লোগান ধারণ করে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিওবার্তা প্রেরণ করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, প্রতিটি মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা পিকেএসএফ-এর মূল লক্ষ্য। পিকেএসএফ-এর উন্নয়ন ধারণার মূলে রয়েছে অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও সমতাভিত্তিক উন্নয়ন।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন, বর্তমানে পিকেএসএফ-এর কার্যক্রমে যে বৈচিত্র এসেছে তা এমনভাবে সমন্বিত করতে হবে যাতে এগুলো টেকসই হয়। পিকেএসএফ-এর বহুমুখী কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানবজীবনের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে পিকেএসএফ কাজ করে না।

১৯৮৯ সালের ১৩ নভেম্বর বিশেষায়িত এই প্রতিষ্ঠান জন্ম লাভ করে। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় পিকেএসএফ-এর এই সুদীর্ঘ অভিযাত্রাকে স্মরণ করার জন্য এ বছরই প্রথমবারের মতো ‘পিকেএসএফ দিবস’ পালিত হলো।

অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ-এর সাবেক চেয়ারম্যান এম সাইদুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউর রহমান, ড. মো. আবদুল করিম ও মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...