হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৫ পুলিশ সদস্য

সিলেট অফিস,

  • প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ৬:২৯ অপরাহ্ণ

আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির বৈঠক চলাকালে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বানিয়াচং থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন৷ সেই সঙ্গে বিএনপির এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আহত পুলিশ সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র বলেন, বিএনপি নেতারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মঙ্গলবার রাত প্রায় ১১টায় বৈঠকে বসেছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়৷ এসময় ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ আরও ৪ পুলিশ আহত হয়েছেন৷

তবে বিএনপির নেতারা বলেছেন, গণসমাবেশ সফলের জন্য তাঁরা প্রচারপত্র বিলি শেষে চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে কোনো অপরাধ ছাড়াই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।

ওসি অজয় চন্দ্র দেব বলেন, সিলেটে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মঙ্গলাবার দিনগত রাত প্রায় ১১টায় বিএনপির ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মী বিস্ফোরক ও অস্ত্র নিয়ে এলআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছিলেন। পুলিশ সেখানে গেলে তাঁরা পুলিশের ওপর হামলা করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সেখান থেকে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। সেখান থেকে বেশকিছু বিস্ফোরক জব্দ করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করেছে। সিলেটের গণসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। পরে তারা এক বিএনপি নেতার দোকানে চা পান করতে যান। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে জাহির খানকে ধরে নিয়ে গেছে। সিলেটের গণসমাবেশে জনস্রোত হবে। সেজন্য জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও পুলিশ জনস্বার্থ বিরোধী এ কাজ করেছে।

এদিকে বুধবার দিনে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে কয়েকশত অজ্ঞাতদের নামে বানিয়াচং থানায় বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওসি৷

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...