সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশের আগে ছাত্রলীগের শোডাউন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ প্রায় ৮০০ মোটরসাইকেল নিয়ে সমাবেশস্থলের পাশেই চৌহাট্টা-জিন্দাবাজারে মিছিল করেছে। ওই সময় বিএনপির সমাবেশস্থলে সাধারণকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে দলের সিনিয়র নেতারা তাদের সরিয়ে নেন।

প্রায় ১ ঘণ্টা ছাত্রলীগ চৌহাট্টা ও জিন্দাবাজারে অবস্থান নেয়। পরে তারা সেখান থেকে সরে যান। ওই সময় পুরো নগরের বিভিন্ন রাস্তায় তীব্র যাটজটের সৃষ্টি হয়। সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নগরের টিলাগড় পয়েন্ট ও মহানগর ছাত্রলীগ রিকাবীবাজার পয়েটে সমবেত হয়ে চৌহাট্টা পয়েন্টে এসে জড়ো হয়।

সিলেটের রাজনীতিতে একটি সম্প্রীতির ধারা অব্যাহত আছে। এখানে বিএনপি আওয়ামী লীগ সবাই একে অপেরর সঙ্গে সবসময়ই সৌহার্দপূণ আচরণ করে থাকেন। এবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। তিনি জানান, পূণ্যভূমি সিলেট রাজনীতির উর্বর ভূমি। এখানকার নেতারা জাতীয় রাজনীতিতে অনেক অবদান রেখেছেন। সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকে এ পর্যন্ত যারা নির্বাচন করেছেন তারা সবাই গ্রহনযোগ্য ও ক্লিন ইমেজখ্যাত। জাতীয় রাজনীতিতে সিলেট সবচসময়ই আলাদা গুরুত্ব রাখে। সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয় বলেও জানান তিনি।

সিলেটের শত বছরের রাজনৈতিক সম্প্রীতির বন্ধন আওয়ামী লীগ নষ্ট করতে শুরু করেছে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘হযরত শাহ জালাল, শাহ পরাণ (র.) স্মৃতি বিজরিত এই সিলেটে রাজনীতির একটি সুন্দর ধারা ও সম্প্রীতি আছে। এখানে আমাদের বিএনপির অনেক নেতা জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা সবসময়ই সুন্দর ও পরিপাটি রাজনীতি করতে পছন্দ করি। কিন্তু সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসামাবেশকে কেন্দ্র করে এই আওয়ামী লীগ সরকার একের পর এক বাঁধা দিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ-ছাত্রলীগ মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখন আর মানুষকে ঘরে রাখা সম্ভব না। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এই সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করেই তারা ঘরে ফিরবে।’

এদিকে সমাবেশের এখন চলছে একেবারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মঞ্চ নির্মাণের কাজও শেষের দিকে। আজ রাতের মধ্যেই বৃহস্পতিবার মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হবে বলে। অন্যদিকে রাতেই শহরের নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে আসার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে।

সমাবেশস্থল আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পূর্ব পাশে মাদ্রাসার ঠিক লাগোয়া অংশে গণসমাবেশের মঞ্চ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলছে মাঠ প্রস্তুতির কাজ। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সমাবেশস্থলে পুরোদমে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

মাঠের পূর্ব দিকে এই মঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ থেকে লম্বা করে এই মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। ৭০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রশস্ত মঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া রঙিন পোস্টার, ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন স্থান ও সমাবেশস্থলের চারপাশ। মাঠে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পও রয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপ্যাসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির জানান, সারা দেশের মতো একই কায়দায় সিলেটেও ধর্মঘট ডাকা হলো। এই সরকার মানুষের সরকার না। তারা যখনই খবর পায় কোথাও কোনো লোক জড়ো হচ্ছে বা সমাবেশ হচ্ছে তখনই তারা নানাভাবে তা প্রতিহত করে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ নানাভাবে দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...