কাতারে ১৮০০ কেজি মাংস নিয়ে গেছে আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ৮:০৭ অপরাহ্ণ

কাতারে স্পেন ফুটবল দল একদিন আগেই সমস্যায় পড়েছিল নিজেদের প্রিয় খাবার আনতে না পেরে। পর্ক এবং এক ধরনের বিশেষ ওয়াইন স্প্যানিশদের খুব প্রিয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো কাতারেও পর্ক এবং মদ নিষিদ্ধ। অতি কষ্টে বিয়ার পানের অনুমতি পাওয়া গেছে। তবে এই ভুল করতে আর রাজি নয় আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে। তারা নিজেদের দেশ থেকেই বিশেষ ধরনের সুস্বাদু মাংস নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে।

শুধূমাত্র বিফ বার্বিকিউ খাওয়ার জন্য পাঁচ তারকা হোটেল বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। কাতারে প্রবেশের আগে টিম আর্জেন্টিনার কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, হোটেলগুলোর তুলনায় ছাত্রাবাসে খোলা আকাশের নিচে দারুণ বিফ বারবিকিউ তৈরি হয়। এগুলোর স্বাদও তুলনামূলক ভালো। তাই ছাত্রাবাসে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেসিরা।

ইএসপিএন আর্জেন্টিনার খবর বলছে, মেসির দল দেশ থেকে ৯০০ কেজি গরুর মাংস নিয়ে এসেছে কাতারে। একই পরিমাণ গরুর মাংস নিয়ে গেছে উরুগুয়েও।

সারা বিশ্বে গরুর মাংস উৎপাদন, রপ্তানি এবং ভোগে শীর্ষ দুই দেশ উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা। দেশ দুটির খাদ্যাভ্যাসেও গরুর মাংসের বিভিন্ন খাবারের উপস্থিতি থাকে। আর্জেন্টিনায় মাংসের বারবিকিউ ও বিশেষভাবে তৈরি ‘আসাদো’ নামের একটি খাবার ব্যাপক জনপ্রিয়। সাধারণত যেকোনো উৎসবে ‘আসাদো’ খাদ্য তালিকায় থাকেই।

শুধু আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের জন্যই নয়, একই মেন্যু এবং একই ধরনের খাবারের জন্য উরুগুয়ে থেকেও ২০০০ পাউন্ড মাংস আনা হচ্ছে কাতারে লুইস সুয়ারেজদের ক্যাম্পে। উরুগুয়ে দল অবশ্য হোটেলেই আসাদোর আয়োজন করছে। লুইস সুয়ারেজ, এদিনসন কাভানিরা আছেন কাতারের পার্ক হায়াত হোটেলে।

নিজ নিজ দেশ থেকে রাঁধুনি (শেফ), রন্ধনপ্রনালির যাবতীয় অনুসঙ্গও আনিয়ে নিচ্ছে দোহায়। বিশ্বকাপজুড়ে দোহায় বসেই ঘরের খাবারের স্বাদ উপভোগ করবেন মেসি-সুয়ারেজরা। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনিও তাদের খাবার ‘আসাদো’ নিয়ে কথা বলেছেন।

তিনি জানান, এই একটি খাবার পুরো দলকে একতাবদ্ধ রাখে। তিনি বলেন, আমার সেরা (ফেবারিট) খাবারই হল আসাদো। কিন্তু সেটা প্রিয় অবস্থা যেন কাতারে এসে আরো বেশি। এটা যেন আমাদের দলের মধ্যে একতা তৈরিতে দারুণ এক পরিবেশ সৃষ্টি করে। তবে কোন ফুটবলারের কতটা মাংস প্রয়োজন সেটা ঠিক করে দেবেন আমাদের ডাইটটিশিয়ানরা।

খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও বিভিন্ন ধরনের কাজে নিযুক্তদের মিলিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলের মোট সদস্য ৭২ জন।

এদিকে, নেইমারের দল বিশ্বকাপে মাংস নয়, নিয়েছে ব্রাজিলের বিখ্যাত কফি, জনপ্রিয় খাবার সিজনিং এবং ৩৬ কেজি কাসাভা ময়দা, যা দিয়ে তৈরি করা হয় ফারোফা নামের একটি ডিশ।

উল্লেখ্য, আর মাত্র ২ দিন পর কাতারের দোহায় পর্দা উঠবে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের। কাতারের রাজধানী দোহাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ৮টি স্টেডিয়ামে হবে মোট ৬৪টি ম্যাচ। ২০ নভেম্বর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে আয়োজক দেশ কাতার এবং ইকুয়েডর।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...