মাত্র একটা দিন… তারপরই বিশ্বকাপ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ

প্রদীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানোর পর্ব থাকে। ম্যাচ শুরুর আগে দলগুলোর মাঠে পৌঁছানোর মতো। কাতার বিশ্বকাপের সলতে পাকানোর পর্ব অনেক আগেই শুরু হয়েছে। স্টেডিয়াম নির্মাণ থেকে ধরলে প্রায় এক যুগ। এরপর ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে আলগোছে পা ফেলে ফেলে দিন-মাস-বছর চলে গেছে। এভাবেই সময়ের চলে যাওয়ার সরণি বেয়ে এগিয়ে এসেছে বিশ্বকাপ। আর মাত্র একটি দিন। কয়েক ঘণ্টা পরই স্বাগতিক কাতার-ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর।

বরাবরের মতো এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিটের অভাব নেই। যথারীতি বিশ্বকাপের দাবি নিয়ে আছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের সমর্থন এ দুই দলের দিকে। তা ছাড়া লিওনেল মেসি এবার শেষ বিশ্বকাপ খেলছেন। পর্তুগালের আরেক মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরও এটা শেষ বিশ্বকাপ। দুজনই চাইবেন ট্রফি নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে। নেইমারও খালি হাতে ফিরতে চাইবেন না। এ ছাড়া কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স আছে, যারা গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। ইউরোপের উদীয়মান শক্তি বেলজিয়াম আর ক্রোয়েশিয়াও ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ২০১৮ সালে। এবার সে ধারা বজায় থাকবে কিনা, কাতারে উত্তর মিলবে। গাভি-পেদ্রির স্পেন ১২ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে উদগ্রীব। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ জিতেছিল জাভি-ইনিয়েস্তার স্পেন। এবার তাদের মতো প্রতিভা নিয়ে ঝলমল করছে লা ফুরিয়া রোজারা।

এসবের বাইরে অঙ্কের হিসাবে কাতার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২টি দেশ। প্রতি দলে রয়েছেন ২৬ জন ফুটবলার। সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৮৩২ জন ফুটবলার এবারের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবেন, যাদের মধ্যে প্রায় ১৫০ জন ফুটবলার নিজেদের মাতৃভূমি বা জন্মভূমির হয়ে খেলছেন না। কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী মাত্র চারটি দলে অন্য দেশে জন্মগ্রহণ করা বা অন্য দেশ থেকে আসা ফুটবলার নেই। সেই দেশগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া ও সৌদি আরব। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের ১২ জন ফুটবলারেরই জন্ম অন্য দেশে। এতে কিন্তু সমর্থনের ঢেউ মিলিয়ে যাবে না, আবেগও কমবে না।

কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন পর্বের শুরু থেকে বিতর্ক চলছে অভিবাসী শ্রমিকদের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে। কাতার আনুষ্ঠানিকভাবে তিন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে প্রকৃত অর্থে কতজন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন, তা এখনো অজানা। ২০১০ সালের পর ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা থেকে আসা সাড়ে ৬ হাজার নির্মাণ শ্রমিক কাতারে নিহত হয়েছেন বলে গার্ডিয়ানে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। তা ছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরাট অভিযোগ আছে কাতারের বিপক্ষে। এসব আড়ালে সরিয়ে বিশ্বকাপ আগামীকাল থেকে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকবে। মনের দখল নেবেন মেসি-নেইমার-রোনালদোরা।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...