আন্দোলনের নামে জানমালের ক্ষতি করলে রেহাই নেই: প্রধানমন্ত্রী

মানুষের জানমালের ক্ষতি করলে কারও রেহাই নেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, যারা জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করে, এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করে এবং মানুষকে পুড়য়ে মারে এদেশে তাদের কিসের রাজনীতি? কিন্তু তারপরও আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলে তাদেরকে সভা-সমাবেশ সবকিছু করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে, সমাবেশের নামে, আন্দোলনের নামে মানুষের জানমালের ক্ষতি করলে কারও রেহাই নেই।

শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী সমাবেশ স্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সম্মেলনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা হর্ষধ্বনি ও স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান।

এর আগে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সম্মেলনস্থলে সমবেত হয়েছেন। সংগঠনের নারী নেত্রীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত হন।

সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। একদিকে শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন, অন্যদিকে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাপলা চত্বর পর্যন্ত ব্যানার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।

সম্মেলন কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীরা নিজের অনুসারীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে আসছিলেন। সন্ধ্যা হলেই নিজ অনুসারীদের নিয়ে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মিছিল করছিলেন তারা।

সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। একদিকে শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন, অন্যদিকে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাপলা চত্বর পর্যন্ত ব্যানার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।

মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের অনুসারীদের নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে সম্মেলনে। এই দুই পদের বিপরীতে প্রায় ৪০ জন তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই দুই পদে আজ সম্মেলন থেকে নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

[১] [২] [৩]