দিনাজপুরের বিরামপুরে ও বীরগঞ্জে আলাদা দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দম্পতিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা বিরামপুর উপজেলার টাটকপুর নামক স্থানে ও বীরগঞ্জ উপজেলার বড় করিমপুর এলাকায় সকাল ৭টার দিকে এই দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন—সেলিমা বেগম (২৮), সোহেল রানা (৩৮) ও হযরত আলী (৫৬)। সেলিমা বেগম দিনাজপুর সদর উপজেলার নিমনগর বালুবাড়ীর সিপাহিপাড়ার বাসিন্দা, সোহেল রানা একই উপজেলার রেলওয়ে কলোনি এলাকার বাসিন্দা। তারা স্বামী-স্ত্রী। এদিকে, হযরত আলী পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রধানবাদ এলাকার বাসিন্দা।
বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল ইসলাম জানান, দিনাজপুর থেকে এক মোটরসাইকেলে সোহেল রানা ও সেলিমা বেগম ঘোড়াঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময় নওগাঁ জেলার সাপাহার থেকে বিআরটিসির একটি বাস বিরামপুরের দিকে আসছিল। পথে টাটকপুর নামক স্থানে বাসটি তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ওই দুজন নিহত হন। দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। বিআরটিসি বাসটি ফুলবাড়ী থানায় জব্দ রয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, সকালে হযরত আলী দেবীগঞ্জের নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বীরগঞ্জ শহরের দিক যাচ্ছিলেন। পথে বীরগঞ্জের বড় করিমপুর নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে যাওয়া কাভার্ড ভ্যান তার মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে হযরত আলী মারা যান।
দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।