তারল্য সংকট, চার হাজার কোটি টাকা ধার নিল ৫ ইসলামি ব্যাংক

তারল্য সংকটে পড়া ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার দিতে বিশেষ ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ ব্যবস্থার নাম ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি। সোমবার পরিপত্র জারির পর মঙ্গলবারই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে পাঁচ ইসলামি ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পাঁচ ব্যাংক হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

এই ৫ ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডই চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবস্থাপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এবং ইসলামিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করতে ১৪ দিন মেয়াদি তারল্য-সুবিধা ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শরিয়াহ ব্যাংকগুলো সপ্তাহের প্রতিটি কার্যদিবসে নিয়মিতভাবে এ সুবিধা গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, তারল্য সুবিধার মেয়াদ হবে ১৪ দিন। তিন মাস মেয়াদি আমানতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের যে মুনাফার হার, এক্ষেত্রেও একই মুনাফা দিতে হবে। কমপক্ষে ১ কোটি টাকা তারল্যের জন্য আবেদন করা যাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অকশন কমিটি তারল্য সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে। আর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাব থেকে টাকা মুনাফাসহ ফেরত নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের লিয়েনে রাখা বন্ড থেকে তা সমন্বয় করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি তারল্য-সংকটে পড়ে কয়েকটি ইসলামী ব্যাংক টাকা ধার করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে। সে জন্যই নতুন এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে এখন ১০টি ইসলামী ধারার ব্যাংক। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ব্যাংকটির আমানত প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। অন্য ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, আল-আরাফাহ, এক্সিম, শাহজালাল, স্ট্যান্ডার্ড ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক।

[১] [২] [৩]