বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের সিরিজ জয়

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সফরকারী ভারতকে ৫ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজ জিতে নিলো টিম টাইগার। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ব্যাট হাতে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট নেয়া মেহেদী হাসান মিরাজ।

বুধবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামে ভারত ও বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় সাকিব-মিরাজরা।

বাংলাদেশের দেয়া ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ভারত। ফলসরূপ ৫ রানে ম্যাচ হেরে সিরিজ হাত ছাড়া করে ফেলে সফরকারীরা।

মিরপুরে দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তবে সিদ্ধান্তের যথার্থ প্রমাণ করতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ১১ রানে সিরাজের বলে সাজঘরে ফেরেন বিজয়। এরপর উইকেটে আসেন নাজমুল শান্ত। লিটন দাসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ৩৯ রানে থামে এই দুই ব্যাটারের জুটি। ২৩ বলে ৭ রান করে সিরাজের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

লিটনের ফেরার উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান। শান্তকে নিয়ে ধীরে ধীরে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিলেও আচমকা খেই হারিয়ে ফেলেন সাকিব। উমরান মালিকের গতির ঝড়ে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েন এই দুই ব্যাটার। ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। এরপরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। সাজঘরে ফেরেন সাকিব, মুশফিক ও আফিফ।

৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন রিয়াদ ও প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের নায়ক মিরাজ। দেখে-শুনে ব্যাট করতে থাকেন এই দুই ক্রিকেটার। তুলে নেন ৫০ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ব্যাটেই খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ৭৭ রানে আউট হলেও মেহেদী অপরাজিত ছিলেন ১০০ রানে।

এর আগে মিরাজের হাফসেঞ্চুরি পর পর মাহমুদউল্লাহও তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। উমরান মালিকের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৯৬ বলে ৭ চারে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ৭৭ রানের ইনিংস। শেষ দিকে নাসুমও কার্যকরী একটি ইনিংস খেলেছেন। ১১ বলে ১৮ রান আসে নাসুমের ব্যাট থেকে। শেষটা এতোই বারুদ ঠাসা ছিলো যে ৫ ওভারে মাহমুদউল্লাহ, নাসুম ও মিরাজ মিলে যোগ করেন ৬৮ রান। যার মাধ্যমে ম্যাচের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭১ রান। সিরিজ বাঁচাতে সফরকারীদের প্রয়োজন দাঁড়ায় ২৭২ রান।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দশ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। মিডল ওভারে রাহুলকে নিয়ে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেও পারেননি শ্রেয়াস আয়ার। তবে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটিতে চোখ রাঙানিটা ছিলো স্পষ্ট। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আবারও ম্যাচে ফেরান মিরাজ।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...