৬ লাখের ফাইনালের টিকিট ১৪ লাখেও মিলছে না

শেষবার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আবারও বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ পাচ্ছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এর জন্য আর মাত্র এক ধাপ দূরে আলবিসেলেস্তারা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।

দেশের বিশ্বকাপ জয়ের সাক্ষী হতে ইতিমধ্যেই কাতারে এসেছেন ৩০ হাজার আর্জেন্টাইন সমর্থক। ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে আরও অনেক সমর্থক আসা শুরু করেছেন। কিন্তু ফাইনালের টিকিটের দাম আকাশচুম্বী চাওয়া হচ্ছে। এ জন্য দোহায় বিক্ষোভে নেমেছেন আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা।

আজ দলের হোটেলের সামনে বিক্ষোভ করে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের (এএফএ) কাছে সহায়তা চেয়েছেন সমর্থকেরা। যেন ফাইনাল ম্যাচের টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন এএফএ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হোটেলের সামনে বিক্ষোভ করে আসছিলেন সমর্থকেরা। টিকিটের বিষয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ কথা কাটিও হয় তাঁদের। এ সময় কিছু সমর্থকের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘এএফএ আমাদের টিকিট দাও’।

অফিশিয়ালি সবচেয়ে কমদামি টিকিটের দাম হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৯ হাজার টাকা। সেই টিকিটের দাম এখন ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর সবচেয়ে ব্যয়বহুল টিকিটের দাম ছিল ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। এখন সেই টিকিটের দাম চাওয়া হচ্ছে ১৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা। অর্থাৎ, ফাইনাল ম্যাচের একটি টিকিটের জন্য দ্বিগুণেরও বেশি দাম দিতে হচ্ছে সমর্থকদের। এর পরেও পাওয়া যাচ্ছে না টিকিট।

টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই কাতারে আছেন রবার্তো বাসকুর। কালোবাজারে আর্জেন্টিনার প্রত্যেক ম্যাচের টিকিট কিনেছিলেন তিনি। টিকিটের বিষয়ে ৫৩ বছর বয়সী সমর্থক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, স্টেডিয়ামের বাইরে যারা বিক্রি করছিল তাদের কাছে অন্তত ১৫-২০টি টিকিট ছিল।

অফিশিয়াল মূল্যে টিকিট বিক্রি করার দাবি করেছেন ৫১ বছর বয়সী চিনতিয়া ইচহানিস নামে একজন বিক্ষোভকারী। এএফপিকে এই বিক্ষোভকারী বলেছেন, পুনঃ বিক্রয় টিকিটের দাম হলো প্রায় ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। যারা শুরু থেকেই এখানে আছেন এবং টিকিটের জন্য যারা অর্থ প্রদান করেছে তাদের জন্য এই টাকা অনেক কিছু। আমরা সমস্যা চাই না। আর্জেন্টিনাবাসী হিসেবে আমরা চাই আর্জেন্টিনার জন্য আবারও আনন্দ উদ্যাপন করতে।

তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

[১] [২] [৩]