সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
চলছে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা। জয়ের জন্য ৪৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এখন পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৮ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে টিম বাংলাদেশ। জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন আরও ৪৩৫ রান, হাতে রয়েছে ১০ উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে শনিবার চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নেমেছে দুই ওপেনার জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে শান্ত এবং ৩২ রানে জাকির অপরাজিত রয়েছেন।
শুক্রবার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন প্রথম ইনিংসের ২৫৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। এতে সব মিলিয়ে ভারতের লিড দাঁড়ায় ৫১২ রান। যার ফলে বাংলাদেশ পায় ৫১৩ রানের পাহাড়সম এক লক্ষ্য।
তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট করে নিজেদের লক্ষ্যে সফল হয় ভারত। তারপর স্বাগতিকদের ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে দাপুটে ভঙ্গিতে। ২৫৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও রানের পাহাড় গড়ে তারা। ৬১.৪ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ভারত সংগ্রহ করে ২৫৮ রান।
দিনের শেষ সেশনে সেঞ্চুরি করে ফেরেন শুভমান গিল। মেহেদী মিরাজের বলে ১১০ রান করে ফিরে যান এই ওপেনার। এরপর অবশ্য বিধ্বংসী হয়ে উঠেন চেতেশ্বর পূজারা। ৫২ ইনিংস পর টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান চেতেশ্বর পূজারা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন এ ডানহাতি ব্যাটার। তবে এবার ভুল করেননি। ক্যারিয়ারের দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পূজারা ভারতের রানকে নিয়ে যান পাহাড় চূড়ায়।
সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২৯ বলে ১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। পূজারার সেঞ্চুরির পরপরই অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ইনিংসের ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগের দিনই ফলোঅন শঙ্কায় পড়েছিলো বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিলো স্বাগতিকরা। শুক্রবার সকালে ৫০ মিনিটের মতো প্রতিরোধ গড়তে পারে মিরাজ-এবাদত-খালেদরা। মিরাজের বিদায়ের পরই বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে স্বাগতিক দল অলআউট হয়েছে মাত্র ১৫০ রানে। তাতে সফরকারী দল ২৫৪ রানে এগিয়ে থেকে পুনরায় ব্যাট করতে নামে।
এদিন পিঠের সমস্যায় মাঠে ছিলো না এবাদত হোসেন। সাকিব প্রথম ইনিংসে করতে পেরেছেন মাত্র ১২ ওভার। দ্বিতীয় ইনিংসেও বোলিং করতে পারেননি তিনি। কার্যত তিন বোলারকে দিয়েই আক্রমণ পরিচালনা করতে হয়েছে। চতুর্থ বোলার হিসেবে ইয়াসির আলীকে ব্যবহার করেছেন। বাদ যাননি উইকেট কিপার ব্যাটার লিটন দাসও।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03