হামলায় বিএনপির নয়াপল্টন অফিসে ক্ষতি ৫০ লাখ টাকা

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১:১৯ অপরাহ্ণ

গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের হামলা ও ভাঙচুরে ক্ষতি ও লুট হওয়া সম্পদের পরিমান আনুমানিক ৫০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা।

রোববার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ড. মোশাররফ বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশে-পাশে অনির্বাচিত গণবিরোধী সরকারের নির্দেশে তার বিভিন্ন বাহিনীর যে নির্মম নিষ্ঠুরতা ও বর্বর আচরণ তা শুধু বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করেনি, গণতন্ত্র হত্যাকারী ও বারবার গণতন্ত্র হত্যায় সহায়তাকারী বর্তমান ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের অগণতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী ও গণবিরোধী পরিচয় উৎকটভাবে পুনরায় প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, ক্ষতি ও লুট হওয়া সম্পদের পরিমান আনুমানিক ৫০,৮২,৫০০/= (পঞ্চাশ লক্ষ বিরাশি হাজার পাঁচশত) টাকা। কোনো অফিস বা গৃহ তল্লাশির সময় মালিকপক্ষ এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসেবে রাখার সাধারণ আইন অগ্রাহ্য করে পুলিশ। যা করেছে তা’ হানাদার বাহিনীর আচরণকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনায় জড়িত পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবি জানাই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দলের মহাসচিবকে অফিসের নিচে বসিয়ে রেখে এবং দলের অন্যান্য নেতাদের কয়েকটি কক্ষে আটকে রেখে অসংখ্য টিয়ারগ্যাস, গুলি, সাউন্ড বোমা নিক্ষেপ করে। গোটা এলাকাকে রণক্ষেত্র বানিয়ে পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তা ও সদস্য দলীয় কর্মীর মতো প্রতিপক্ষকে হেয় ও বিপদাপন্ন করার জন্য। সাদা ব্যাগে করে নিজেরাই ককটেল নিয়ে মহাসচিবের ও জাসাস কার্যালয়ের টয়লেটে মোট ১৫টি ককটেল রেখে তা উদ্ধারের যে নাটক মিডিয়ার কল্যাণে তা দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস সহ গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও বানোয়াট মামলা সমূহ প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

২৪ শে ডিসেম্বর বিএনপির গণমিছিল তারিখ পরিবর্তন করে ৩০ শে ডিসেম্বর করাকে আপনাদের নমনীয়তা কিনা না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ড. মোশারফ বলেন, এটা আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি। আমরা ইতিপূর্বে ঘোষণা করেছিলাম। ২৪ তারিখে আওয়ামী লীগে জাতীয় কাউন্সিল হবে। সেই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাদেরকে অনুরোধ করেছেন। গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তন করার জন্য। আমরা রাজনীতি করি। আমাদের দল মধ্যপন্থী গণতন্ত্রপন্ত্রী রাজনীতি করে। বিএনপি সংঘাতে রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা ক্ষমতা থেকেও দেখিয়েছি। আমাদের আচরণ কিন্তু গণতান্ত্রিক। আমরা তা অতীতে দেখিয়েছি, ভবিষ্যতে দেখাবো এবং বর্তমান আচরণ একটি রাজনৈতিক দল অন্য একটি দলের প্রতি সহনশীল হবে। তাদের মতামত ও বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দিবে। এটাই আমাদের নীতি। নীতির প্রেক্ষাপটে আমাদের এই তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে। কর্মসূচি তারিখ পরিবর্তন এটা কারো কাছে নমনীয়তা নয়। এটা আমাদের রাজনৈতিক দর্শন, রাজনৈতিক চিন্তাধারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সহ প্রমুখ।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...