সব
স্পোর্টস ডেস্ক,
ফুটবল বিশ্বের সকল ট্রফিতে নিজের নাম লিখিয়েছেন রোজারিও থেকে উঠে আসা ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার। শুধুই অধরা ছিল সোনালি সেই বিশ্বকাপ শিরোপাটি। আজ কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে নাটকীয় লড়াইয়ে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা।
১৮ ডিসেম্বর বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে স্মরণীয় একটি দিন হয়ে থাকবে। এই দিনটি একের পর এক রূপকথার গল্পকে হার মানানো দৃশ্যপট রচনা করেছে। কখনো আর্জেন্টিনার পক্ষে শিরোপার একাংশ ঝুঁকেছে আবার কখনো ফরাসিদের নাট্যমঞ্চের আবির্ভাব। কিলিয়াম এমবাপে নামক নায়কের ঘারে চড়ে বারবার পিছিয়ে থেকে ম্যাচে ফিরেছে ফ্রান্স।
দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ২২তম আসরের ফাইনাল ম্যাচের ২৩তম মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল নিয়ে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। এরপর ৩৭তম মিনিটে ডি মারিয়ার গোলে আলবিসেলেস্তেরা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল।
অপরদিকে বিরতি থেকে এসে দ্বিতীয়ার্ধেও আর্জেন্টিনা আক্রমণে নিজেদের আধিপত্ত ধরে রেখেছিল। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও ছিলো লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের। কিন্তু ৭৮ মিনিটে আর্জেন্টিনার ডি-বক্সের ভেতর কলো মুয়ানি বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পর ফাউল করে বসেন নিলোলাস ওতামেন্দি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে বাজান পেনাল্টির বাঁশি।
৮০তম মিনিটে স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে নিজের ৬ষ্ঠ গোল করে দলকে প্রথম গোল এনে দেন কিলিয়ান এমবাপে। এরপর যেন নিজেদের ফিরে যায় ফরাসিরা। কারন এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও গোল করেন এমবাপে। ৮১ মিনিটে এমবাপের দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে দলকে ২-২ এ সমতায় ফেরান এই পিএসজি তারকা। এরপর নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে ১০৮তম মিনিটে মেসির গোলে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নিয়েছিলেন এই তারকা। কিন্তু সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ১১৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের হ্যাট্টিক পূরণ করেন এমবাপ্পে। ফলে আর্জেন্টিনার জয় থামিয়ে ফরাসিরা ম্যাচ নিয়ে যান টাইব্রেকারে। কিন্তু সেখানে আর শেষ রক্ষা হলো না ফ্রান্সের। পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা আর্জেন্টিনার কাছে তুলে দিতে হল ফরাসিদের।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03