দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো বিএনপি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর তারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান সকল আইন-সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাতে কারফিউ জারি করেছিলেন। মানুষের অধিকার নষ্ট করেছিলেন। জিয়া অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করে ক্ষমতায় ছিলেন। তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলেন। কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করেছিলেন। ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক দলের লোভীদের নিয়ে অবৈধ সরকার গঠন করেন। এখন আমরা তাদের কাছে গণতন্ত্রের কথা শুনি। যারা জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিলেন।

তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নষ্ট করার জন্য বার বার হরতাল ডেকেছে, পার্বত্যঞ্চলের শান্তি চুক্তি বানচাল করেছে, তারা শান্তির বিপক্ষের শক্র। বাংলাদেশে রাজনীতি থাকবে, রাজনীতিতে পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশে সরকার থাকবে, বিরোধী দল থাকবে; কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী কেউ থাকবে না।

মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর অনিমা চৌধুরি মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততা নিয়ে আওয়ামী লীগ বার বার আন্দোলন-সংগ্রাম করে জনগণের অধিকার এনে দিয়েছে, স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, গণতন্ত্র এনে দিয়েছে এবং দেশের উন্নয়ন দিয়েছে। যাদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই, যারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নতুন বছরেই হাতে বই পাচ্ছে। গরিব শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাচ্ছে। সবই জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। জনগণের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছেন তিনি। তরুণ প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন। তার দূরদর্শিতায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ২৩ বছর দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার রাজনীতি জীবনে পুরো জীবনই কারাগারে কাটিয়েছেন। কী করে সংগ্রাম করতে হয়, কী করে ত্যাগ করতে হয়, তা বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিয়েছেন। দেশের মানুষকে শোষণের হাত থেকে রক্ষায় সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ভাষণ যা বিশ্বের অন্যতম ভাষণ। তার ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙ্গালীরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দেশ স্বাধীন করেছেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-২ (নাটোর সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাজেদুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...