বড়দিনে ইউক্রেনীয় জনগণকে যে বার্তা দিলেন জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:০০ অপরাহ্ণ

বড়দিন উপলক্ষে শনিবার এক প্রতিবাদী বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের জনগণকে রাশিয়ার আক্রমণের মুখে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবারের রাতে জেলেনস্কি এই বার্তাটি, দেশটিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর ১০ মাস পূর্ণ হয়েছে। একই দিনে ইউক্রেনীয় শহর খেরসনের একটি ব্যস্ত বাজারে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ৫৮ জন আহত হয়েছিল।

নয় মিনিটের ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, স্বাধীনতার জন্য আমাদের উচ্চ মূল্য দিতে হবে, তবে দাসত্বের দাম আরও বেশি হবে। আমরা যুদ্ধের শুরু থেকে মারাত্বক আক্রমণ,পারমাণবিক হুমকি, সন্ত্রাস, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সহ্য করেছি। আমরা এই শীতে সহ্য করব কারণ আমরা জানি আমরা কিসের জন্য লড়াই করছি।

ইউক্রেনীয় জনগণকে উৎসাহ দিয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমরা একে অপরকে শক্তভাবে আলিঙ্গন করার জন্য একে অপরকে খুঁজে পাব, এমনকি সম্পূর্ণ অন্ধকারেও। যদি তাপ না থাকে, আমরা একে অপরকে উষ্ণ করার জন্য দীর্ঘ সময়ের জন্য একে অপরকে আলিঙ্গন করব।

তিনি বলেন, আমরা সব সময়ের মতো ছুটি উদ্‌যাপন করব। সব সময়ের মতো আমরা হাসব এবং খুশি থাকব। তবে পার্থক্য শুধু একটাই আমরা অলৌকিক কিছু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকব না। আমরা নিজেরাই তা তৈরি করব।

২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ৩০০ দিন এবং আট বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের সাথে লড়াই করছি। তারা যা চায় আমরা কি তাদের অর্জন করতে দেব?

উল্লেখ্য, ইউক্রেনীয় জনগণের একটা বড় অংশ অর্থোডক্স খ্রিষ্টান। তারা ৬ জানুয়ারিকে বড় দিনের আগের দিন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। তবে বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে মিল রেখে ইউক্রেনীয়দের একটি অংশ ২৪ ডিসেম্বরকে বড়দিনের আগের দিন হিসেবে পালন করে থাকে।

এদিকে, রোববার সকালে কিয়েভ এবং সমস্ত ইউক্রেনীয় অঞ্চল জুড়ে বিমান হামলার সাইরেন জারি করা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অ্যালার্ম নিষ্ক্রিয় না হওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ইউক্রেনীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান বেলারুশের আকাশে যাওয়ার পরে সতর্কতা ঘোষণা করা হয়। তবে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে সেই তথ্য যাচাই করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, দেশটির বেসামরিক এবং জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার কারণে প্রায় প্রতিদিন ইউক্রেনে বিমান হামলার সতর্কতা শোনা যায়। অক্টোবরে বিস্ফোরণে ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে রাশিয়ার মূল কের্চ ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এই ধরনের হামলা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়।

সূত্র: আলজাজিরা

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...