ওসমানী বিমানবন্দরের কাজে ধীরগতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অসন্তোষ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

চরম ধীরগতি চলছে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরির কাজ। ২৬ মাসে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আর তা দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, কাজের ধীর গতির কারণ খতিয়ে দেখা হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটে পৌঁছে বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ব্যয় বাড়াতে আমাদের দেশে উন্নয়ন কাজ বিলম্ব করার ট্র্যাডিশন রয়েছে। যেটি চায়না বা জাপানিরা করে না। তাদের মানসিকতা এমন নয়। তারা মেয়াদের আগে কাজ শেষ করে। মেট্রোরেলের কাজও ৬ মাস আগে শেষ করে তারা টাকা ফেরত দিয়েছে। কিন্তু এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের কাজ বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছিল। সেটি আমরা সমাধান করেছি। আমার নির্বাচনী ওয়াদাগুলো পালন করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রবাসীদের নানা সুযোগ-সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা বিদেশে বসে এনআইডি পাবে এবং এনআইডি অনুযায়ী তাদের পাসপোর্ট দেওয়া হবে।

এর আগে প্রকল্প পরিচালক কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। তিনি জানান, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হয়। এরপর মূল প্রকল্পের ৩৩ মাসের মধ্যে ২৬ মাসে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আরও পাঁচ মাস বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার কথা। পরে মন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করে অনুসন্ধানের কথা বলেন।

প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন, একটি কার্গো ভবন, আধুনিক এটিসি টাওয়ার, ট্যাক্সিওয়ে ও অ্যাপ্রোন এবং আধুনিক ফায়ার স্টেশন স্থাপন সম্ভব হবে। এর ফলে বছরে বিমানবন্দরের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬ লাখ হতে ২০ লাখে উন্নীত হবে।

পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ, প্রকল্প পরিচালক শাহ জুলফিকার হায়দার প্রমুখ।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...