চলতি বছর একাধিক উল্কাবৃষ্টি, উঠবে সুপার মুনও

মহাকাশ নিয়ে কৌতূহলী মানুষের জন্য দারুণ চমক থাকছে এই ২০২৩ সালে। উল্কাবৃষ্টি, চন্দ্রগ্রহণ ও সুপার মুনের মতো মহাজাগতিক ঘটনা লেগে থাকবে বছর জুড়েই। ২০২২ সালের মার্চে নাসা একটি ধূমকেতু আবিষ্কার করে, নাম দেয় ‘সি/২০২২ ইথ্রি’ বা জেডটিএফ। ধূমকেতুটি এ বছরের ১২ জানুয়ারি সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে। পৃথিবীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে ২ ফেব্রুয়ারি।

নাসার ভাষ্য অনুসারে, বাইনোকুলার দিয়েই দেখা যাবে ধূমকেতুটি। সকালের আকাশে চোখ রাখতে হবে এর জন্য। উত্তর গোলার্ধ থেকে জানুয়ারি জুড়ে ও দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে স্পষ্ট দেখা যাবে। প্রায় প্রতি বছরই ১২টি পূর্ণিমার দেখা মেলে। অথচ এবার দেখা যাবে ১৩টি। এর মধ্যে আগস্ট মাসে থাকবে দুটি। দ্বিতীয় পূর্ণিমা হবে ব্লু মুন।

গড়ে প্রতি আড়াই বছর পরপর দেখা যায় ব্লু মুন। আগস্টের পূর্ণিমার সময়কার চাঁদকে সুপারমুন দাবি করেছে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আর্থস্কাই। অবশ্য সুপারমুনের সংজ্ঞা বিভিন্ন। মোটাদাগে, যে পূর্ণিমায় চাঁদ অপেক্ষাকৃত বেশি উজ্জ্বল ও পৃথিবীর বেশি কাছে থাকে, সেটাই সুপারমুন। সে হিসেবে জুলাই মাসের চাঁদকেও সুপারমুন হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।

এদিকে ২০২৩ সালে দুটি সূর্যগ্রহণ ও দুটি চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হবে পৃথিবী। পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে ২০ এপ্রিল, যা অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা থেকে দৃশ্যমান হবে। আর পশ্চিম গোলার্ধে সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ অক্টোবর। উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দেখা যাবে এ ঘটনা। অন্যদিকে চন্দ্রগ্রহণ হবে ৫ মে ও ২৮ অক্টোবর। প্রথমটি আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে দৃশ্যমান হবে। দ্বিতীয়টি দেখা যাবে ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকার কিছু অংশে।

২০২৩ সালে মোট বারোবার উল্কাবৃষ্টি হবে। প্রথম দফায় হবে জানুয়ারির ৩ ও ৪ তারিখে। দ্বিতীয়টি এপ্রিলে। তারপর ধারাবাহিকভাবে জুলাইয়ে দুটি, আগস্টে একটি, অক্টোবরে একটি ও নভেম্বরে দুটি উল্কাবৃষ্টি থাকবে। তবে এই চমৎকার দৃশ্যগুলো দেখতে হলে শহুরে আলোর দূষণ থেকে মুক্ত স্থানে দাঁড়াতে হবে। বিস্তীর্ণ মাঠ কিংবা মুক্ত জায়গায় গিয়ে সরাসরি উপরের দিকে তাকাতে হবে। ২০-৩০ মিনিট অন্ধকারে চোখকে মানিয়ে নিতে হবে। থাকতে হবে কোনোরকম ফোন ছাড়া। তারপরই থাকছে চমক।

[১] [২] [৩]