‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করে পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন বর্ণিল প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পুলিশের আধুনিকায়নের পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দেশে বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। জামায়াত-শিবির-বিএনপির লোকেরা প্রকাশ্যে পুলিশকে হত্যা করেছে। সে সময় ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তারপরও পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। অতীতের মতো আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ বাহিনীকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, তার সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছে, সেখানে প্রত্যেক নাগরিক হবে প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ। তাই পুলিশ বাহিনীকেও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি যুগোপযোগী বাহিনী হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

এর আগে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বার্ষিক পুলিশ প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।

এবারের বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার কাজী মইন উদ্দিন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেন।

পুলিশে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এবছর ১১৫ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম দেওয়া হয়। এ বছর র‌্যাব থেকে পদক পেয়েছেন ১৮ জন সদস্য। আর কর্মক্ষেত্রে জীবন আত্মত্যাগ করেছেন এমন চারজনকে দেওয়া হচ্ছে বিপিএম সাহসিকতা পদক।

[১] [২] [৩]